
হঠাৎ করে নয়, চূড়ান্ত হয়েছিল সপ্তাহখানেক আগেই। আর নীল নকশা তৈরি হয়েছিল সুদূর মার্কিন মুলুকে বসে। নিউ ইয়র্কে প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে দেখা করে প্রিয়ঙ্কাকে সক্রিয় রাজনীতিতে আসার ব্যাপারে রাজি করিয়েছিলেন দাদা রাহুলই। কংগ্রেসের শীর্ষ স্তরের এক নেতার সূত্রে এ খবর জানা গিয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, নিউ ইয়র্কে বসে দাদা-বোন একসঙ্গে বসেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণার দিনক্ষণও চূড়ান্ত করেন।
গত সপ্তাহেই দুবাই সফরে গিয়েছিলেন রাহুল গাঁধী। সেখান থেকে ‘স্পেশাল মিশন’ নিয়ে নিউ ইয়র্কে যান রাহুল। সেই মিশন ছিল প্রিয়ঙ্কাকে কংগ্রেসের সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণে রাজি করানো। কংগ্রেসের ওই সূত্রের দাবি, ছেলেমেয়ের পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন প্রিয়ঙ্কা। রাজনীতিকে কার্যত পার্ট টাইম হিসেবেই রেখেছিলেন। তবে গত দু’বছর ধরে তাঁকে সক্রিয় রাজনীতিতে আসার ব্যাপারে পুরোপুরি ‘না’ করেননি। এমনকি, তিন রাজ্যে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের সময়ও তিনি রাহুলের সঙ্গে প্রায় সব বৈঠকেই ছিলেন। কিন্তু ঠিক কোন সময় বা কোন পরিস্থিতিতে সরাসরি ময়দানে নামবেন, সেই বিষয়টি কার্যত ভাবনার বাইরেই রেখেছিলেন প্রিয়ঙ্কা।
ওই সূত্রের দাবি, এই পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের জন্য মাত্র দু’টি সিট ছেড়ে বিএসপি-এসপি আসন সমঝোতার ঘোষণা প্রিয়ঙ্কার অভিষেকের ক্ষেত্রে অনুঘটকের কাজ করে। রাহুল নিউ ইয়র্কে যাওয়ার সময়ই কার্যত মন স্থির করে ফেলেছিলেন, ‘এটাই আদর্শ সময়’। এক দিকে অখিলেশ-মায়াবতী, অন্য দিকে বিজেপিকে টক্কর দিতে এখনই ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ প্রিয়ঙ্কাকে রাজনীতিতে আনতে হবে।সূত্র আনন্দবাজার