
কে তুমি এই সীমন্তনী?
তব একা কেন এই পুলিনে?
কিবা তোমার প্রয়োজন এই সলিল নিকটে?
সুন্দর তব পদ চলন, চাহনি তবু মায়াবী।
উত্তরিয় মোর প্রশ্নের জবাবে।
স্তব্ধতা তব তোমার মুখ পানে,
শূণ্য চারিদিক নিমিষে পুলকিত তোমার হাসিতে।
আহা কি অপূর্ব তোমার পদচলন,
হাসিতো নয়, যেন মুক্তা খসে পড়া।
তব মিলেনি এখনো পরিচয়!
বারবার তোমার গুণগুলো শুনে তুমি হাসছো।
সমস্ত গ্লানিগুলো যখন মুখের হাসি কেড়ে নেয়,
তব তুমি যদি এসে দাড়াও সমীপে,
দুঃখ গুলো আনন্দ দেয় তোমারি সংস্পর্শে।
এবার সেই দুঃখভরা হ্রদয় কে আনন্দ দানে ইচ্ছা প্রকাশিত
তোমার হাতটা ধরতে চাইলাম তুমি ছুটি দৌড়ে পালালে মুহূর্তে।
তোমায় আমি হারিয়ে ফেলছি ভয়ে আরো কাছে যেতে ছুটছি।
তুমি আস্তে আস্তে বিলীন হয়ে যাচ্ছো।
আমি বললাম, ওগো প্রেয়সী দুঃখনিবারণি
যাইবার পূর্বে তোমার পরিচয় প্রদানে ইচ্ছা করো।
তুমি হেসে বললে পশ্চিম আকাশে শেষে আমি থাকি,
তাই আমার নাম দিগন্বরী
যেখানে সবকিছু শেষ সেখানে আমার জন্ম।
নিমিষে হারিয়ে তুমি আমার হ্রদয় কেড়ে নিলে।
অতএব তবে আমি মোহজগত থেকে
প্রবেশে সমর্থ হয়ে বুঝিতে পারিলাম,
তুমি সাধারন কেহ নহে,
তুমি অশরিরী কোনো আত্না।
ভালো থেকো তুমি নীল রূপন্তী।