
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা আজ বৈঠকে বসেছিলেন পরবর্তী করনীয় কি তা ঠিক করতে ,সারাদেশে এবং দেশের বাইরে অবস্থানরত সবার মধ্যে একটা আগ্রহ ছিল , এই রকম একটা নির্বাচনের পরে ঐক্যফ্রন্টের কর্মসূচী সম্পর্কে । তারা জাতীয় সংলাপ এবং নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামালা , দেশবাপী সফর করে জনমত গঠনের কর্মসূচী দিয়েছেন । প্রথম জাতীয় সংলাপ কবে কার সাথে করবে সে সম্পর্কে তারা কিছু বলেন নি , ট্রাইব্যুনালে মামলাও কবে থেকে শুরু করবেন সে সম্পর্কেও আজকের সভা থেকে ধারনা পাওয়া যায় নি , জনমত গঠনে দেশব্যাপী সফর কবে শুরু করবেন তাও জানা যায়নি , আবার হয়তো তারা বৈঠকে বসে এসব ঠিক করবেন, সে পর্যন্ত অপেক্ষা ছাড়া আগাম কিছু বলা যাবে না । আসলে দেশব্যাপী ঐক্যফ্রন্টের সমর্থকদের মধ্যে একাটা আশা ছিল কম করে হলেও নির্বাচনে কারচুপির বিরুদ্ধে তারা অন্তত কিছু দৃশ্যমান কর্মসূচী দেবেন, এটা অবশ্যই অহিংস কর্মসূচী হতে পারতো , কিন্তু এরকম কিছু না দেখে তাদের সমর্থকদের মধ্যে কিছুটা হতাশা পরিলক্ষিত হচ্ছে, আলাপ আলোচনায় , সোশ্যাল মিডিয়ায় কর্মীদের মধ্যে কিছুটা হতাশা দেখা যাচ্ছে , এই হতাশা কাটানোর জন্য ঐক্যফ্রন্টের নীতিনির্ধারক রা আগামীতে কি পদক্ষেপ নেন তা দেখার জন্য কতদিন অপেক্ষা করতে হবে তা কেউ জানে না । রাজনীতি বড় নির্মম এখানে কেউ কাউকে ছাড় দেয়না , আওয়ামীলীগ ও তার প্রতিপক্ষকে ছাড় দেয়নি , যেভাবেই হোক তারা নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করে সরকার গঠন করে ফেলেছে , তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ এই সরকার এবং নির্বাচনকে মেনে না নিলেও তাদের ধীরে চল নীতি অনেকটা নির্বাচনকে মেনে নেওয়ার মতোই । এছাড়া কি করতে পারতো ঐক্যফ্রন্ট এই প্রশ্নও করা যেতে পারে কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে , বাস্তব পরিস্থিতি বড় আন্দোলনের জন্য উপযোগী নয় ঐক্যফ্রন্টের শরীক দল বিএনপির নেতা কর্মীরা মামালা হামলায় বিপর্যস্ত , নির্বাচনকে ঘিরে অনেকে নতুন করে মামালা খেয়েছে , এইরকম অবস্থায় কোন আন্দোলনের কর্মসূচী দেয়ার ঝুঁকি নেনে নি ফ্রন্টের নেতারা , তারা এখন নো স্টপ ফরোয়ার্ড এন্ড এভরি স্টেপ ব্যাকওয়ার্ড নীতি গ্রহন করেছে , হতে পারে এটা তাদের রাজনৈতিক কৌশল ।
হাবিব বাবুল , প্রধান সমাপদক শুদ্ধস্বর ডট কম ।