এবার কোনোভাবে নির্বাচনি মাঠ ছাড়তে রাজি নয় সরকারবিরোধী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগকে সহজেই ছাড় দেবে না- এটা স্পষ্ট। কোনও আসনে যাতে সরকারি দল ওয়াকওভার না পায়- তারও পালটা ব্যবস্থা রেখেছে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন এ জোট। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ঐক্যফ্রন্টের অনেক প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও তারা তিন দিনের মধ্যে এ আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, ইসির যাচাই-বাছাই ও মনোনয়নপত্র বাতিলে আপাতত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট। বিভিন্ন কারণে বগুড়া-৭, মানিকগঞ্জে ৩টি ও শেরপুরে একটি আসনে বিএনপি বা ২৩ দল কিংবা ঐক্যফ্রন্টের কোনো প্রার্থী নেই। এমন পরিস্থিতিতে বিকল্প ভাবতে হচ্ছে ঐক্যফ্রন্টকে। সকল আইনি লড়াইয়ের পরও উতরাতে না পারলে তাদের ভরসা থাকবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর দিকে।
এ বিষয়ে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও ঐক্যফ্রন্ট অন্যতম নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘পরিস্থিতি প্রতিকূলে থাকলে ঐক্যফ্রন্ট বসে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেব। তবে সেক্ষেত্রে স্বতন্ত্র কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেয়ার বিষয়ে আমরা ভাববো। তবে অনেক আসনে তো ফ্রন্টের বিকল্প প্রার্থীও আছে।’
এ বিষয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমন্বয়ক ও গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু জানান, এখনও আপিলের সময় রয়েছে, আসন শূন্য থাকার পরিস্থিতি এখনও আসে নাই। তবে এ বিষয়টি আন্দাজ করে আমরা আগে থেকেই ফ্রন্টের পক্ষ থেকে এক আসনে একাধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়ে রেখেছি। তারপরও না হলে আমরা বসে সিদ্ধান্ত নেবো।’
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির একাধিক নেতা এই প্রতিবেদকে বলেন, শেষ মুহুর্তে পর্যন্ত জোটের মনোনীত প্রার্থীর বৈঠকতার জন্য অপেক্ষা করা হবে। ফলাফল নেতিবাচক হলে ওইসব আসনে ঐক্যফ্রন্টের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়া হবে।
এ পর্যন্ত বগুড়া, মানিকগঞ্জ ও শেরপুরের সবকয়টি আসনেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। সুত্র : আমাদের সময় কম