
সিলেটের ছাত্রদল নেতা মাহমুদ হোসেন শওকত ছয় বছর আগ নিজ দলের প্রতিপক্ষ গ্রুপের হামলায় নিহত হন। নির্বাচনী প্রচারণার গাড়ি ভাঙচুর ঘটনায় মামলায় তাকে আসামী করা হয়েছে। নিহত এই ছাত্রদল নেতাকে গ্রেফতার করতে পুলিশ তার বাসায় অভিযানে যাওয়ার পর গায়েবি মামলায় তাকে আসামী করার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তার সঙ্গে এই মামলায় আসামি করা হয়েছে সিলেট বিএনপির সিনিয়র নেতাদেরও।
এ বিষয়ে সিলেটের কোতওয়ালি থানা পুলিশের বক্তব্য হলো, মামলার বাদীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে এজাহারটি গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে সেটি বাদ দেয়া হবে।
সিলেট নগরীর উপশহরে ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ২০১২ সালের মার্চে নিহত হন সিলেট ছাত্রদলের নেতা মাহমুদ হোসেন শওকত। এ হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছিল নিখোঁজ ছাত্রদল নেতা ইফতেখার আহমদ দিনারকে। উপশহরের দিনার গ্রুপের কর্মী ছিল শওকত। নিজ দলের গ্রুপিংয়ের শিকার হয়ে তার নিহত হওয়ার ঘটনাটি সেই সময় বেশ আলোচিত হয়েছিল।
গত রোববার সিলেটের কোতোয়ালি থানায় আওয়ামী লীগ তথা মহাজোট প্রার্থী ড. একে আবদুল মোমেনের নির্বাচনী প্রচারণার গাড়ি ভাঙচুর ঘটনায় মামলা করা হয়। এ মামলার বাদী নগরীর নাইওরপুর মৌবন আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মো. ফাহিম আহমদ হামীম। সিলেটের কোতোয়ালি থানায় বিস্ফোরক আইনে রেকর্ড করা মামলাটির নম্বর হচ্ছে ৩১। এ মামলায় নিহত ছাত্রদল নেতা মাহমুদ হোসেন শওকতকে ২৭ নম্বর আসামি করা হয়েছে।
ওই দিন রাতেই শওকতকে গ্রেফতার করতে নগরীর বাদামবাগিচা এলাকায় তার বাসায় পুলিশ অভিযানে আসে বলে তার পারিবারিক সূত্র জানায়।
মামলায় বিএনপি নেতৃবৃন্দ, চার কাউন্সিলর, তিন আইনজীবী, স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল ও ছাত্রদল নেতাকর্মীরাও রয়েছেন আসামি তালিকায়। মামলার আসামির তালিকায় সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের শামীম, সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজমল বখত সাদেক, মহানগর বিএনপির সহসভাপতি কাউন্সিলর ফরহাদ হোসেন শামীম ও হুমায়ন কবীর শাহীন, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতা সিদ্দিকী, ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌফিকুল হাদি, ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জ্বল, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা রেজাউল করিম নাচন, জেলা ছাত্রদল সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার ১২০ জন আসামির মধ্যে অনেকেই বিদেশে অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছেন সিলেট বিএনপির নেতারা।
মামলায় মৃত ব্যক্তিকে আসামি করা প্রসঙ্গে মলাটি প্রসঙ্গেকোতোয়ালি থানার ওসি সেলিম মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, লিখিত এজাহার পেয়ে পুলিশ মামলা রেকর্ড করেছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তে শেষে মৃত ব্যক্তির নাম বাদ দেয়া হবে।