বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং এর স্বাধীনতাপ্রাপ্তির একেবারে মর্মমূলে রয়েছে গণতন্ত্রের আদর্শ। বাঙালির গণতান্ত্রিক চেতনাকে যখন রুদ্ধ করার চেষ্টা করেছিল তদানীন্তন পাকিস্তান, তারই প্রতিবাদে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। একাত্তরে জয়ী দলকে ক্ষমতায় যেতে দেওয়া হয়নি বলে যুদ্ধ হয়েছিল, এটা কেবল তাৎক্ষনিক কারণ কিন্তু সুদূর প্রসারি কারণো বার বার গনতান্ত্রিক অধিকার থেকে বাংলাদেশের মানুষকে বঞ্চিত করার বিষয়টি। এই ইতিহাসই বাংলাদেশের মানুষকে, নানান চড়াই উৎরাই সত্বেও গণতন্ত্রের প্রতি আকৃষ্ট করেছে। বাংলাদেশের আসন্ন একাদশতম সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমরা এরই মধ্যে লক্ষ্য করেছি প্রায় সব দলেরই মনোনয়ন প্রার্থিদের মধ্যে উচ্ছাস ও আগ্রহ। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে বলে সংশ্লিষ্ট সকলেরই প্রত্যাশা। সেই সঙ্গে আশংকাও রয়েছে অনেক। প্রশ্নও আছে অনেক। সেসব আশংকা ও প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই আমাদের আজকের হ্যালো ওয়াশিংটন ‘বাংলাদেশে একাদশ সংসদ নির্বাচন: প্রত্যাশা ও সংশয়’।
আজ আলোচনার এই প্যানেলে সরাসরি টেলিসম্মিলনী লাইনে ঢাকা থেকে যোগ দিয়েছিলেন ট্রান্সপ্যারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের চেয়ারপারসন ও মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশানের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারাপারসন সুলতানা কামাল। সংযুক্ত হয়েছিলেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, লোকপ্রশাসনের অধ্যাপক, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ বা জানিপপের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ। আরো ছিলেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ পর্যালোচক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার ড. সাখাওয়াত হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেছেন আনিস আহমেদ। সূত্র : ভয়েজ অব আমেরিকা