
Bangladeshi cricketer Mehidy Hasan (2R) celebrates with teamamtes after the dismissal of the Zimbabwe's cricketer Brian Chari during the third day of the first Test cricket match between Bangladesh and Zimbabwe in Sylhet on November 5, 2018. (Photo by MUNIR UZ ZAMAN / AFP)
লক্ষ্য ছিল ৪৪৩। জিততে হলে চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়ার বিশ্বরেকর্ড গড়তে হতো জিম্বাবুয়েকে। টেস্টে সর্বোচ্চ ৪১৮ রানের টার্গেট তাড়া করে জয়ের কৃতিত্ব ওয়েস্ট ইন্ডিজের। কিন্তু কিসের কী? এর ধারেকাছেও যেতে পারল না রোডেশিয়ানরা। ২২৪ রানেই গুটিয়ে গেল তারা।
এতে মিরপুর টেস্টে ২১৮ রানের দুর্দান্ত জয় তুলে নিল বাংলাদেশ। ফলে দু’দলের ২ ম্যাচ টেস্ট সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ হলো। ১৫১ রানে সিলেট টেস্ট জিতেছিল সফরকারীরা।
আগের দিনের ২ উইকেটে ৭৬ রান নিয়ে পঞ্চম দিন ব্যাট করতে নামে জিম্বাবুয়ে। দুই ইনফর্ম ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেইলর ৪ এবং শন উইলিয়ামস ২ রান নিয়ে খেলা শুরু করেন। মন্থর শুরু করেন তারা। তবে খুব বেশিদূর এগোতে পারেননি। উইলিয়ামসকে সরাসরি বোল্ড করে ড্রেসিং রুমের পথ ধরান মোস্তাফিজুর রহমান। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সিকান্দার রাজাও। তাকে কট অ্যান্ড বোল্ড করে ফেরান তাইজুল ইসলাম। ফলে চাপে পড়ে জিম্বাবুয়ে।
এ পরিস্থিতিতে ক্রিজে আসেন পিটার মুর। এসে ব্রেন্ডন টেইলরকে দারুণ সঙ্গ দেন তিনি। একপর্যায়ে জমে ওঠে তাদের জুটি। দারুণ মেলবন্ধন গড়ে ওঠে দুজনের মধ্যে। কি স্পিন, কি পেস-কোনো কিছু দিয়েই আটকানো যাচ্ছিল না ওদের। পঞ্চাশোর্ধ্ব জুটি গড়ে বাংলাদেশকে চোখ রাঙাতে থাকেন তারা। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এ ভয়ংকর জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। শর্ট লেগে ইমরুল কায়েসের তালুবন্দি করে মুরকে ফেরান তিনি। এতে ভাঙে টেইলর-মুরের ৬৬ রানের জুটি। এ জুটি ভাঙায় জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে স্বাগতিকরা।
মুর ফিরতেই পথ হারায় জিম্বাবুয়ে। খানিক বাদেই মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিমের যুগলবন্দিতে রানআউট হয়ে ফেরেন রেজিস চাকাভা। অল্পক্ষণ পরই মিরাজের জোড়া আঘাতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় সফরকারীরা। প্রথমে লিটন দাসের তালুবন্দি করে ডোনাল্ড তিরিপানোকে ফিরিয়ে দেন তিনি। পরে তাইজুল ইসলামের ক্যাচ বানিয়ে ব্রেন্ডন মাভুতাকে ফেরান এ অফস্পিনার। ফলে বাংলাদেশের জন্য জয়টা সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
জিম্বাবুয়ে শিবিরে শেষ পেরেকটি ঠুকেন মিরাজই। খালেদ আহমেদের ক্যাচে পরিণত করে কাইল জার্ভিসকে ফেরান তিনি। এটি ছিল তার পঞ্চম উইকেট। যদিও এটি ছিল প্রতিপক্ষ শিবিরের নবম উইকেট, তবু জয়োল্লাসে মাতে টাইগাররা। কারণ, আহত থাকায় শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে নামতে পারেননি টেন্ডাই চাতারা।
প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানরা নিয়মিত বিরতিতে যাওয়া-আসা করলেও বুক চিতিয়ে লড়েন টেইলর। তুলে নেন বাংলাদেশের বিপক্ষে পঞ্চম এবং ক্যারিয়ারে ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। ১৬৪ বলে ৯ চারে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১০৬ রানে অপরাজিত থাকেন এ অভিজ্ঞ ব্যাটার।
এর আগে জবাব দিতে নেমে শুরুটা দারুণ করে জিম্বাবুয়ে। বিনা উইকেটে ৬৮ রান তুলে ফেলে সফরকারীরা। কিন্তু এরপর ২ রানে ২ উইকেট হারান তারা। হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে (২৫) ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। অপর ওপেনার ব্রায়ান চারিকে (৪৩) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তাইজুল ইসলাম।