
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিবেশীদের কাছে তার বিদেশ নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ বিপত্তি পেতে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ভারতের সকল উদ্বেগ (conccern) মোকাবেলা বা প্রত্যাখ্যান করে ইতিমধ্যেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেশ কয়েকজন প্রো পাকিস্তান এবং চীনের সক্রিয় কিছু ব্যক্তি কে মনোনীত করেছেন। একজন প্রো পাকিস্তানি ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদ জনাব সালমান এফ রহমান ইতিমধ্যেই নির্বাচনের জন্য নমিনেশন পেয়েছেন। যিনি তার প্রত্যক্ষ প্রতিবেদন দ্বারা ভারত বিরোধী বলে সুপরিচিত ।তিনি ভারতীয় কূটনীতিকদের ক্ষেত্রে সর্বদাই আক্রমণাত্মক মনোভাব প্রকাশ করেন এসেছেন। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন নির্বাচনে বর্তমান সরকারের দলীয় তালিকায় ভারত তাদের নিকটবর্তী সুপরিচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সমন্বয় করতে এবং শেখ হাসিনা ও আওয়ামী নেতাদের সন্তুষ্ট করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। ভারতীয় পররাষ্ট্র দফতরের উচ্চস্থানীয় পর্যায় থেকে জানা গেছে যে, ভারতীয় উচ্চপর্যায়ের কুটনৈতিকগণ আওয়ামী লীগের পক্ষে সমর্থনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকতে ব্যর্থতারপরিচয় দিয়েছে। বাংলাদেশের জনমানুষের মাঝে একটি জনতরঙ্গ রয়েছে যে, ভারতের প্রত্যক্ষ সহায়তা ছাড়া নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়ী হবার কোনো সম্ভাবনাই নাই। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ ভারতের বিদেশ অফিসের কর্মকর্তারা মনে করেন যে,ভারতীয় হাইকমিশনার এইচ ভি শ্রিংলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নমিনেশনের ক্ষেত্রে ভারত সমর্থিত প্রার্থীদের সংযোজন করতে পুরোপুরি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন । ভারতের পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্রণালয় সুত্রে জানা যায় যে, আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনা অনেক গোপনে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান এবং চীনের সাথে নতুন সমর্থন গড়ে তুলেছে এবং এই ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনা ভারতকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করেছে।
( বাংলা অনুবাদে, বুলবুল তালুকদার
সহকারী সম্পাদক,শুদ্ধস্বর ডটকম )