
কমরেড আ ফ ম মাহবুবুল হক ছিলেন একজন আজীবন বিপ্লবী, কোনো লোভ-লালসা তাকে কখনও লক্ষ্যচ্যুত করেনি। তিনি যেটা সত্য বলে মনে করেন তা প্রতিষ্ঠা করার জন্য মন-প্রাণ উজাড় করে দিয়েছেন। দেশের দুঃশাসন থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে আ ফ ম মাহবুবুল হকের মতো নেতার খুব প্রয়োজন ছিল।
শনিবার রাজধানীর ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাবেক আহ্বায়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, আজীবন বিপ্লবী কমরডে আ ফ ম মাহবুবুল হকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
পার্টির আহ্বায়ক কমরেড সন্তোষ গুপ্তের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য দেন বাম ঐক্য ফ্রন্টের সমন্বয়ক ও গণমুক্তি ইউনিয়নের আহ্বায়ক কমরেড নাসির উদ্দীন আহমেদ নাসু, বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য কমরেড শওকত হোসেন আহমেদ, বাম গণতান্ত্র্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, বিশিষ্ট সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশের সমাজান্ত্র্রিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার মোর্শেদ, কমিউনিস্ট ইউনিয়নের আহ্বায়ক কমরেড ইমাম গাজ্জালী, জাসদ নেতা আজিজুর রহমান, সাংবাদিক বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি তরুণ তপন, গরীবমুক্তি আন্দোলনের আহ্বায়ক সামছুজ্জামান মিলন, বাসদ ঢাকা মহানগর নেতা আনোয়ার হোসেন মিলন প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন বাসদ ঢাকা মহানগর নেতা জামাল শিকদার।
বক্তারা বলেন, আ ফ ম মাহবুবুল হক ছিলেন সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে আপোষহীন। তিনি আপোষ করলে অনেক কিছু হতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা পেলেই আ ফ ম মাহবুবুল হককে যথাযথ শ্রদ্ধা জানানো হবে।
কমরেড আ ফ ম মাহবুবুল হক ২০০৪ সালে দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত হন। দেশে চিকিৎসা শেষে কানাডায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১৭ সালে ১০ নভেম্বর না ফেরার দেশে চলে যান তিনি।