দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় অবৈধ ইটভাটার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কৃষি জমিকে অকৃষি জমি দেখিয়ে, তিন ফসলি জমিকে এক ফসলি দেখিয়ে এবং সংরতি বন এলাকার ভেতরেও পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র ছাড়াই এসব ইটভাটা স্থাপন করা হচ্ছে। জনবসতি এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে বছরের পর বছর ইটভাটা গড়ে ওঠায় ফসলি জমি ও পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে। ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ বিবর্ণ হয়ে উঠছে। এ কারণে জনস্বাস্থ্য,পরিবেশ, কৃষি ও কৃষকেরা তির সম্মুখীন হচ্ছে।
সরকারের কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে গড়ে তোলা হয়েছে এসব অবৈধ ইটভাটা। ইটভাটার কারণে কৃষি ও কৃষক উভয়ই মারাত্মকভাবে তির শিকার হচ্ছে।

32640a9ddc03addf6d2ec2c788f82c71-59358fb555ade

এলাকাবাসীর দাবি, অবৈধ ইটভাটার কারণে আশপাশে ধান, সবজি, লিচু, কাঁঠাল, নারিকেলসহ বিভিন্ন ফলের উৎপাদন কমে যায়। এতে এক দিকে কৃষির যেমন তি হচ্ছে, অন্য দিকে এলাকার স্বাভাবিক পরিবেশ মারাত্মকভাবে নষ্ট হয়ে রোগবালাই দেখা দিচ্ছে।
মালিকপ লাইসেন্স না করেই উচ্চ আদালতে রিট করে বছরের পর বছর এসব অবৈধ ইটভাটা পরিচালনা করে আসছে।
ছাড়পত্রহীন ইটভাটার মালিকদের দাবি, উচ্চ আদালতের নির্দেশ ও সময়সীমা নির্ধারণ মোতাবেক তাদের ভাটাগুলো পরিচালিত হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ইট প্রস্তুত ও ভাটা (নিয়ন্ত্রণ) আইনে ফসলি জমি, আবাসিক এলাকা এবং বনসংলগ্ন জমিতে ইটভাটা না করার বিধান থাকলেও নবাবগঞ্জের বেশির ভাগ ইটভাটা মালিক তা অমান্য করে নিষিদ্ধ এসব এলাকায় গড়ে তুলেছেন অবৈধ ইটভাটা। এর পাশাপাশি ভাটাগুলোতে কয়লা পোড়ানোর সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে অবাধে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ।
এসআরবি ব্রিক্স নামের এক অবৈধ ইটভাটায় কাঠ পোড়ানোর অপরাধে গত বছর এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছিল। তারপরও থেমে নেই খড়ি দিয়ে ইট পোড়ানো। ভাটামালিক সোহরাওয়ার্দী বাবুলের মৃত্যুর পর হাল ধরেছেন তার ছেলে আবু শাহাদৎ সায়েম। তার অবৈধ ইটভাটাটি দাউদপুর বাজারের পূর্ব পাশে হেয়াতপুর মৌজায়। এলাকাবাসীর দাবি, অবৈধ এসআরবি ইটভাটার কারণে তাদের বিভিন্ন ফলের বাগানে আশানুরূপ ফল হচ্ছে না। শিশুদের নানা রোগবালাই লেগেই আছে।
আবু শাহাদৎ সায়েম জানান, সব প্রসেসিং ঠিক রেখেই তিনি এ ইটভাটা স্থাপন করেছেন। তার রিট করা রয়েছে।

20181130_220210

রকোনুজামান

শুদ্ধস্বর পত্রিকার রংপুর/ দিনাজপুরের প্রতিনিধি।

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading