অবশেষে জল ঘোলা করে সরকার সিলেটে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টকে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে। তবে সহজে অনুমতি দিয়েছে মনে করলে ভুল হবে।অনুমতি আদায় করার জন্য হাইকোর্টে রীট করতে হয়েছে। বাঙালি জাতির বিবেক, জাতীয় ঐক্যের প্রতীক, বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতা ডঃ কামাল হোসেন বিনা ফিতে রীট মামলাটি করেছিলেন।

aW1hZ2UtMTU0NTM2LTE1MzU2MjU4OTkuanBn

পরপর দুই বার আবেদন করার পরও যখন সরকার সমাবেশের অনুমতি দিচ্ছিলোনা তখন ডঃ কামাল হোসেন নিজ থেকে আমাদের সাথে করণীয় নিয়ে কথা বলেন।এতে মুখ্য ভুমিকা রাখেন গণফোরাম এর নেতা মোকাববির খান। এদিকে সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জরুরী ভিত্তিতে তার সাথে রোজভিউ হোটেলে দেখা করার জন্য মোবাইলে আমার সাথে কথা বললে বিশ তারিখ বিকেল সাড়ে পাঁচটায় আমি ঐ হোটেলে গিয়ে মেয়র মহোদয়ের সাথে দেখা করি এবং আমরা উভয়েই মোবাইলে ডঃ কামাল এর সাথে কথা বলি এবং এ আলোচনার মাধ্যমে রীট মামলাটি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ডঃ কামাল আমার কাছে জানতে চান সমাবেশের জন্য অনুমতির আবেদন করেছিলেন তাকে নিয়ে অবিলম্বে ঢাকায় গিয়ে তার সাথে দেখা করতে পারব কিনা। দেরী না করে রাতেই ঢাকায় পৌঁছাতে বললেন তিনি। তাই মেয়র মহোদয়ের মাধ্যমে আবেদনকারী বিএনপি নেতা জেলার সাধারণ সম্পাদক জনাব আলী আহমদকে রোজভিউ হোটেলে ডেকে আনা হয় এবং মি,আলী, আমি ও মেয়র মহোদয় মিলে রীট মামলাটি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ইমেইলে ডঃ কামাল এর নিকট দরকারি সব কাগজপএ ও তথ্য পাঠিয়ে দেই।রাতেই ২৪ঘনটার সময় দিয়ে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আই জি,সিলেটের পুলিশ কমিশনার গং বরাবরে আইনি নোটিশ অনলাইনে পাঠান অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী। আর ২১অক্টোবর সাড়ে ছয়টায় বিমানে ঢাকা রওয়ানা করি জনাব আলী আহমদ কে নিয়ে। সকাল সাড়ে দশটায় মতিঝিলে ডঃ কামাল এর ল অফিসে গিয়ে দেখা করি তার সাথে। আমাদের সাথে ছিলেন গণফোরাম এর সভাপতি মন্ডলীর সদস্য মোকাববির খান।এখানেই দেশের সতের কোটি মানুষের সভা সমাবেশের সাংবিধানিক অধিকারের বিষয়টি নিশ্চিতের দাবিতে রীট মামলাটি রেডি করে আমরা চলে আসি হাইকোর্টে। বেলা দুইটায় একুশ নম্বর রূমে মাননীয় বিচারপতি জনাব মঈনুল ইসলামের আদালতে ঐতিহাসিক রীট মামলাটি দাখিল করেন ডঃ কামাল হোসেন। আর বাদী হন আলী আহমদ। রীট মামলা দাখিলের সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। ফলে নড়েচড়ে বসে সরকার। সরকারের টনক নড়ে রীট মামলাটির কারণে।ফলে তড়িঘড়ি করে সিলেটের সমাবেশ করার অনুমতি দেয় সরকার, কেননা রীট মামলায় সরকার হেরে যাবার শংকা ছিল। এটি সবাই বলছেন এজন্যই সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে। এভাবেই নিজের দায়িত্ব বোধ থেকেই দেশের মানুষের সাংবিধানিক অধিকার বজায় রাখার জন্য বিনা ফিতে রীট মামলাটি নিয়ে আইনি লড়াইয়ে নেমে ছিলেন জাতির বিবেক ডঃ কামাল হোসেন।মামলার শুরুতেেই বিজয় ছিনিয়ে আনলেন। ধন্যবাদ ডঃ কামাল হোসেন কে।ধন্যবাদ বাদী আলী আহমদ কে।

অ্যাডভোকেট আনসার খান, সভাপতি গণফোরাম, সিলেট মহানগর।

অ্যাডভোকেট আনসার খান’র ফেসবুক পেজ থেকে।

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading