চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মুসলিম হল ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন করে সদ্যপ্রয়াত সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর নামে করার ঘোষণা দিয়েছেন সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।

শনিবার দুপুর ১২টার দিকে নগরীর সদরঘাট থানার পূর্ব মাদারবাড়ি এলাকায় শিল্পীর নানা বাড়িতে সাংবাদিকদের কাছে তিনি ঘোষণা দেন।

মুসলিম হল ইনস্টিটিউটের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ভারত বর্ষের মুসলিম জাতিসত্তার ইতিহাস। একই সঙ্গে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনের ইতিহাসও জড়িত।

মেয়র বলেন, ‘আইয়ুব বাচ্চু চট্টগ্রামের সম্পদ ছিলেন। দেশকে তিনি অনেক কিছু দিয়েছেন। এখন আমাদের তাকে কিছু দেয়ার পালা।’

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মুসলিম হল ইনস্টিটিউটকে আইয়ুব বাচ্চুর নামে নামকরণের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে।’

নাছির উদ্দীন বলেন, ‘কিছুদিন আগেও আইয়ুব বাচ্চু চট্টগ্রামে এসেছিলেন। সে সময় তার সঙ্গে অনেক বিষয়ে কথা হয়। চট্টগ্রাম নিয়ে ওনার অনেক স্বপ্ন ছিল। তবে এভাবে চলে যাবে, আমি ভাবতেও পারিনি।’

তিনি আরো বলেন, ‘বিমানবন্দর থেকে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ গ্রহণ করে তার মামা আবদুল আলিমের কাছে হস্তান্তর করেছি। সবাই তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করবেন।’

গত বৃহস্পতিবার মাত্র ৫৬ বছর বয়সে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান আইয়ুব বাচ্চু। তিনি ছিলেন একাধারে গায়ক, গিটারিস্ট, গীতিকার, সুরকার ও প্লেব্যাক শিল্পী। ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

শুক্রবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আইয়ুব বাচ্চুর প্রতি শেষশ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর জাতীয় ঈদগাহের নামাযে জানাযাতেও ঢল নামে ভক্তদের।

সেখান থেকে মরদেহ রাখা হয় স্কয়ার হাসপাতালের হিমঘরে। কানাডা থেকে আহনাফ তাজওয়ার ও অস্ট্রেলিয়া থেকে মেয়ে ফাইরুজ সাফরা আসার পর স্ত্রী ফেরদৌস আকতার স্বামীর মরদেহ নিয়ে শনিবার সকাল ১০টা ৫৭ মিনিটে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে পৌঁছান।

সেখান থেকে আইয়ুব বাচ্চুকে সরাসরি নেয়া হয় তার শৈশবের প্রিয় জায়গা নানা বাড়ি, চট্টগ্রামের দক্ষিণ পূর্ব মাদারবাড়িতে।

নানা বাড়ি থেকে রূপালী গিটারের জাদুকরের মরদেহ বিকেল ৩টার কিছু পরে আনা হয় চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গনে। সেখানে ভক্তরা শেষবারের মতো দেখে নেন প্রিয়শিল্পীর মুখ।

বাদ আসর এই মাঠেই আইয়ুব বাচ্চুর নামাযে জানাযা হবে। এরপর দাফনের জন্য নেয়া হবে ১৫ বছর আগে মাকে দাফন করা সেই চৈতন্যগলির বাইশ মহল্লার কবরস্থানে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading