এখন গণতন্ত্র উদ্ধারের সময়, জাতকুল দেখার সময় নয়। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ কথা বলেন। নয়াপল্টনে নিজস্ব অফিসে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি নির্বাচনের শর্ত নয়, তার মুক্তি হতে হবে নিঃশর্ত। এখানে কোনো আপোস নেই। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে তাকে অবশ্যই মুক্তি দিতে হবে।

জাতীয় ঐক্য নিয়ে বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও তার পুত্র মাহি বি. চৌধুরীর তিন শর্তের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, সরকারের বাইরে থাকা রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরকে শর্ত দিতে পারে না। কারণ আমরা সকলেই চাচ্ছি নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। জাতীয় ঐক্য যারা করতে চান তাদের উচিত এখনই আসন ভাগাভাগি নিয়ে সময় নষ্ট না করে বরং কিভাবে দেশে একটা গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনা যায় সেদিকে গুরুত্ব দেওয়া।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ঐক্য করতে বাধা নেই। আমরা ঐক্য চাই। কিন্তু কারোর ভাবা উচিত হবে না, বিএনপি দূর্বল তাই ঐক্য করতে চাচ্ছে। আমি স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, বিএনপির কোনো দূর্বলতা নেই। দাবি আদায়ে কেউ যদি বিএনপির সঙ্গে না আসে তাহলে বিএনপি কি আন্দোলন থেকে সরে যাবে ? তা যাবে না। বরং বিএনপির দলীয় শক্তি ও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দাবি আদায়ে আরো বেশী সক্রিয় হবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে গয়েশ্বর বলেন, ঐক্য প্রক্রিয়ার কাজ চলছে। সব দল এক সঙ্গে বসে কোনো ঘোষণা দেয়নি। এখন পরস্পরকে দেখছে। কারোর কথায় যদি ঐক্য বাধাগ্রস্থ হয় বা ঐক্য না হয় তাহলে এর দায় সেই ব্যক্তি বা দলকে নিতে হবে। জনগণ তাদেরকে দোষারোপ করবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, বি. চৌধুরী যখন বিএনপিতে ছিলেন তখন উনি জামায়াতের সুবিধা নিয়েছেন। দলীয় মনোনয়ন র্বোডে থেকে জামায়াতের প্রার্থীদের মনোনয়ন দিয়েছেন, আবার স্বাক্ষরও করেছেন। ২০০১ সালে সংসদে জামায়াতের এমপিদের সর্মথন নিয়ে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। পিতার কারণে ছেলে সংসদ সদস্য হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। তাহলে এখন জামায়াতকে নিয়ে তার এতো বাধা কোথায়? তাছাড়া উনাদের জনসর্মথন ও দলীয় অবস্থানটাও দেখতে হবে। উনারা ক্ষমতার ভারসাম্যের কথা বলেন, উনাদের কত ভাগ জনসর্মথন রয়েছে। জামায়াতের তো একটা ভোট ব্যাংক আছে। তাহলে জামায়াত ছাড়ার প্রশ্ন আসবে কেন ? আর জামায়াতকে ছাড়ালে উনি যে বিএনপির সঙ্গে থাকবেন তার নিশ্চয়তা কোথায়?

গয়েশ্বর বলেন, এখন জাতকুল দেখার সময় নয়। উনারা একক কোনো নেতা নন যে, মানুষ তাদের কথা শুনবে। আমরা এরআগেও আলাদা আলাদা প্লাটফর্ম থেকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করেছি। এরশাদের পতনের দাবিতে অভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছি। তখন একক কোনো দলের নেতৃত্ব ছিলো না। তাই বলবো, দলীয় স্বার্থের জন্য যতটুকু ত্যাগ স্বীকার করার দরকার সেটা বিএনপি করবে।  সুত্র : আমাদের সময়.কম

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading