
জল-জোছ্নায় হাওর দেখা,
পাহাড়িয়া মেয়ে।
আঁকাবাকা পথে চলা,উজান-ভাটির না’য়ে।
পাহাড় বেয়ে ঝর্নাধারা সাগর-কূলে যায়,
আমি তখন নীল বনফুল, পথেই দেখা যায়।
পুরো আকাশ ছেয়ে আছে,
সবুজ ঘাসের চাঁদর।
পটে আঁকা ছবির মতোই আমার মনের হাওর।
বছর ঘিরে ক্লান্তিবিহীন মেঘের ভেলায় ভাসি
আমি তখন কাশবালিকা ; আকাশ নিয়েই ভাবি।
আকাশ আকাশ ভাবনাগুলো সীমার বাধন ডিঙ্গাই ,ইচ্ছেমতোন
বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ি অবলীলায় যখন-তখন।
ভোরের আভায় ভাবছি যখন সোনারোদে,
ঠিক তখনই এলে তুমি ভবের হৃদে
মিহিদানা স্বপ্নগুলো ছড়িয়ে দিলে আপন ভেবে।
চিলেকোঠায় দাঁড়িয়ে আজ দেখছি আমি ভিন্ন আকাশ
পড়ছি তখন “মেঘের কোলে রোদ হবো আজ
প্রেমের মাঝেই বাস,
তবু কেন বেজেই চলে রিনি সুরের ছোট্ট দীর্ঘশ্বাস ।
এক পৃথিবী ভিন্নরকম স্বপ্ন দেখায় ভাবছি যখন,
তুমিহীন আকাশ আমার ছিল কি কখন?
তুমিময় সেই পৃথিবী, সেই পৃথিবী অন্যরকম।
পাহাড়ঘিরে স্বপ্নগুলো কেবল সাজায়।
তেপান্তরি মাঠে নামে তারাভরা রাতের আকাশ
ফুল চাইলেই ফুলের বাগান হাতের মুঠোয়
ভালোবাসায় ঢাকা থাকে আকাশসম।
প্রজাপতি ঘিরে থাকে বাঁধন ভেবে।
মিষ্টিমধুর কুহুতানে, ছড়ায় আবেশ গভীর আলিংগন
শান্তবুকের হৃদগহীনে জলোচ্ছাসী হেম।
সকাল দুপুর সন্ধে বিকেল মধ্য রাতের প্রেম।
ঠিক তখনই ঘন্টা বাজে বাস্তবতার।
স্বপ্ন ভাঙ্গা আমি কেবল হাট্ ছি একা ;
দীপান্তরী মাঠে তখন।
সন্ধ্যা প্রদীপ ঘরে জ্বলে ।
সব পাখীরা নীড়ে ফেরে, আমিও তদের দলে।
হাঁটছি একা ভাবছি একা।
আঁকাবাকা পথে পথে।
হলুদাভায় ঝরে পড়া শূন্যতাকে ধারন করে, খুব নিবিড়ে,
একাগ্রতায়, একাকীত্বের সংগোপনে।
এক বিকেলের নির্জনতায় হারিয়ে যাব ঝরাপাতা গল্প হয়ে।।।।।