
আগামী সপ্তাহে আবার সংসদ বসছে , এটাই মনে হচ্ছে বর্তমান সংসদের শেষ অধিবেশন, সরকার সমর্থিত দল গুলো ছাড়া সব দলেরই অভিন্ন দাবী রয়েছে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয় নিয়ে , এইসব দাবী একেবারে অবজ্ঞা করা মনে হয় ঠিক হচ্ছে না , কারন রাজনীতি সবসময়য় একরকম থাকে না , আজকে যে পরিস্থিতিতে বিরোধী দল আছে আগামীতে সরকারী দলেরও এরকম অবস্থা হতে পারে । তাই নির্বাচনকালীন সরকার এবং কিভাবে সবার কাছে একটি গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা যায় সে বিষয়ে একটি ঐক্যমত্য হওয়া উচিৎ, একজন সাধারন নাগরিক এরকমই প্রত্যাশা করে । সরকারের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে সরকারী দলের নেতারা যে রকম আশাবাদী তার থেকে মনে হচ্ছে তারাই নির্বাচনে জয়লাভ করবেন তাই নিরেপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে তাদের আপত্তি থাকার কথা নয় । নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে মানুষের মধ্যে ততই শঙ্কা বাড়ছে , আওয়ামীলীগ এবং বি এন পি আগের অবস্থানে অনড় ,এরকম একটা পরিস্থিতিতে একটি আলোচনা অনুষ্ঠিত হলে একটি সমাধান বের হয়ে আসার সম্ভাবনা ছিল । এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ছোট দল গুলোও ভাঙছে , ন্যাপ এবং বিকল্প ধারা ভাঙনের কবলে পড়েছে জোটে থাকা এবং না থাকা নিয়ে, এমনিতেই বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলের অভাব নেই তারপর এরকম ভাঙ্গাভাঙ্গি হলে তা কোন দলের জন্যই শুভকর নয়, ভিন্নমত হলেই দল ভাঙতে হবে এটা কেউ প্রত্যাশা করে না । নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন , এবার নির্বাচন বিনা ভোটে হবে না এটা একরকম নিশ্চিত , শেষ পর্যন্ত বি এন পি র নেতৃত্বাধীন জোট আন্দোলনের অংশ হিসাবে হলেও নির্বাচনে অংশ নেবে এরকম আভাস পাওয়া যায় , নির্বাচনে অনিয়ম হলে নির্বাচন পরবর্তী আন্দোলন আরও যৌক্তিকতা পাবে এবং সেই আন্দোলনে সরকার বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে পারে , তাই কি পদ্ধতিতে নির্বাচন করলে নির্বাচন অবাধ, এবং নিরেপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে সেটা নিয়ে আলোচনার বিকল্প নেই । আশা করছি বাস্তব পরিস্থিতি উপলদ্ধি করে সরকার খোলা মন নিয়ে একটি প্রাক নির্বাচন সংলাপ করবেন, এই প্রত্যাশা রইলো ।