
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার পাচক দূর্গাপূজা উদযাপন কমিটির কোষাধ্যক্ষ পলাশ চন্দ্র শীল কে ইয়াবা মামলায় মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে তার বাড়ি থেকে ৪ লক্ষ টাকা লুটপাটের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে নড়িয়া থানার পুলিশের এসআই আতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে।
গ্রেফরকৃত দূর্গাপূজা উদযাপন কমিটির কোষাধ্যক্ষ পলাশ চন্দ্র শীলের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ,এই এসআই আতিয়ার রহমান নির্দোষ (তাদের ভাষায়) পলাশ চন্দ্র শীলকে দেহ তল্লাশীর নাম করে নিজের আঙুলের ফাকে ছোট একটি পুড়িয়ায় ইয়াবা লুকিয়ে নিয়ে অভিনব কায়দায় পলাশ শীলের কোমড়ের লুঙ্গির কোচায় গুঁজে দিয়ে আবার বের করে এনে নিরপরাধ পলাশ শীলকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে দেয়। দূর্গাপূজা উদযাপন কমিটির সদস্যদের ফি, এলাকা থেকে সংগৃহীত দূর্গাপূজার চাঁদা মিলিয়ে পলাশ শীলের বাড়িতে থাকা ৪ লক্ষ টাকাও এসআই আতিয়ার রহমান সাথে নিয়ে যায়। যা মামলার জব্দ তালিকায় উল্লেখ করা হয়নি। পরিবারের ভাষ্যমতে, এসআই আতিয়ার রহমান পলাশ শীলের পরিবারকে হুমকি দিয়ে বলেছে এই ৪ লক্ষ টাকা নেওয়ার কথা প্রকাশ করলে পলাশ শীলকে আরো মাদকের মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে ক্রস ফায়ারে দেয়া হবে। এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ আতংকের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার সুষ্টু তদন্ত, এসআই আতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহন, গ্রেফতারকৃত পলাশ চন্দ্র শীলের নিশর্ত মুক্তি সহ দ্রুত প্রতিবিধান না হলে এবছর এলাকায় হিন্দুদের আসন্ন শারদীয়া দূর্গোৎসব উদযাপন সম্ভব হবে না বলে এলাকার হিন্দু জনসাধারন ও পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন।
দূর্গাপূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ জানান, “আসন্ন শারদীয় দূর্গাপূজার প্রতিমার খরচ থেকে শুরু করে, প্যান্ডেল নির্মান, ঢুলিদের সম্মানী অর্থাৎ পুজার যাবতীয় খরচের জন্য এই অর্থ সবার কাছ থেকে সংগ্রহ করে পূজা কমিটির কোষাধ্যক্ষ পলাশ শীলের কাছে রাখা হয়েছিল। জরুরিভাবে এই টাকা উদ্ধার করা না গেলে পাচক গ্রামের দূর্গাপূজা বন্ধ করা ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই।”
তারা শরীয়তপুরের স্থানীয় প্রশাসন এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অভিযুক্ত এসআই আতিয়ার রহমানকে অবিলম্বে বরখাস্ত করে আইনের আওতায় আনা সহ নিরপরাধ পলাশ শীলের বিরুদ্ধে আনিত মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার ও তার নিশর্ত মুক্তি দাবী করেছেন।
নিউজ বাংলা প্রতিনিধির রিপোর্ট