আওয়ামী লীগের সমাবেশে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

একই সঙ্গে  বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাবেক বিশেষ সহকারী আবদুল হারিছ চৌধুরীসহ ১৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত ,বাকি আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদের দণ্ড এবং পলাতকদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

এই মামলার শুরু থেকেই যে নামটি সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে, তিনি জালাল ওরফে জজ মিয়া। তাকেই প্রথমে এই মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছিল।পরে তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হন জজ মিয়া। দীর্ঘ কারাভোগের পর তিনি এখন মুক্ত। দীর্ঘ ১৪ বছর অপেক্ষার পর বুধবার রায়ের পর নোয়াখালীর সেনবাগের জালাল ওরফে জজ মিয়া পরিবর্তন ডটকমকে প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘দীর্ঘ ১৪ বছর পরেও রায় হওয়ায় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। রায়ে সব মিলিয়ে আমি সন্তুষ্ট। তবে একটি বিষয়ে আক্ষেপ রয়েছে। ঘটনার মূলহোতা তারেক রহমানের ফাঁসি না হওয়ায় কষ্ট লাগছে।’

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে এই গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। সে সময়ে জালাল রাজধানীতে গাড়ি চালাতেন।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.