বাংলাদেশের রাজনীতির গতিপথ পাল্টে যাচ্ছে, আজ সিলেটে নবগঠিত জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের জনসভায় নেতরা স্পষ্টই বলেছেন তারা বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাচ্ছেন না এবং গতবারের মতো সরকারকে ওয়াকওভার দেবেন না , এই কথার মধ্যে একটি রহস্যের ইঙ্গিত পাওয়া যায়, সরকার স্পষ্টই বলেছে তারা বিরোধীদের কোন দাবীই মানবেন না এবং তাদের সাথে কোন আলোচনায়ও বসবেন না । তাহলে কি হবে , কিভাবে বিরোধীরা সরকারকে মোকাবিলা করবে , একমাত্র উপায় আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে বাধ্য করা আলোচনায় বসতে এবং নির্দলীয় নিরেপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করা , এটা কি বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থায় সম্ভব ?পরিস্থিতি বলে এরকম সম্ভাবনা এখনও দেখা যাচ্ছে না , বিরোধীরা বলছে কখন আন্দোলনের শিখা জ্বলে উঠবে তা কেউ জানে না , বিরোধীদের পরিকল্পনা স্বল্পকালীন সময়ে আন্দোলন বা গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা, সেরকম কিছু হওয়ার আগে যে পূর্বাভাস থাকে তা একেবারেই দেখা যাচ্ছে না, আবার নিশ্চিত করে বলাও যাচ্ছে না যে কিছুই হবে না ।কোটা আন্দোলন এবং নিরাপদ আন্দোলনে সেরকম কোন পূর্বাভাস ছিল না, হঠাৎ করেই হয়েছে ।
আজকে সিলেটে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের জনসভার পর বিরোধী পালে কিছুটা হলেও হাওয়া লেগেছে , জনসমাগম ছিল ভালো , ব্যাপক বাধা বিপত্তি এবং গ্রেফতারের মধ্যেও জনসভাটি সফল হয়েছে ,জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের বাইরের কিছু দলও অংশ নিয়েছে ,কর্নেল অলির নেতৃত্বাধীন এল ডি পি আজ সকাল পর্যন্ত গুঞ্জন ছিল তারা সরকারী জোট ১৪ দলে যোগদান করতে পারে কিন্তু সিলেটের জনসভায় তাদের উপস্থিতি এবং জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের সাথে একাত্মতা ঘোষণার মাধ্যমে কর্নেল অলির সরকারী জোটে যোগদানের বিষয়টি শুধুই গুজবে পরিনত হল । এদিকে এরশাদকে নিয়ে রাজনীতিতে সংশয় বাড়ছে ,তিনি নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন এখন তাকে নিয়েই সংশয় হচ্ছে , তিনি সত্যি অসুস্থ কি না না তাকে সি এম এইচ হাসপাতালে ভর্তি হতে বাধ্য করা হয়েছে ২০১৪ সালের মতো , এসবই রাজনীতির বাজারে গুজবের মতো ঘুরপাক খাচ্ছে । সব মিলিয়ে রাজনীতির গতিপথ পাল্টে যাচ্ছে , পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে এরকমই আভাস পাওয়া যায় ।
হাবিব বাবুল
প্রধান সম্পাদক, শুদ্ধস্বর ডট কম ।