যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হলো ‘হুমায়ূন মেলা’

কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ স্মরণে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হলো ‘হুমায়ূন মেলা’।স্থানীয় সময় রোববার নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের কাছে কুইন্স প্যালেসের মিলনায়তনে শুরু হয়ে দুই দিনব্যাপী এ মেলা শেষ হয় পরদিন সোমবার।‘শো-টাইম মিউজিক’ এর মালিক আলমগীর খান আলমের উদ্যোগে আয়োজিত এ মেলায় হুমায়ূন আহমেদের বই ছাড়াও বাঙালি খাবার ও পণ্যেরও প্রদর্শনী ছিলো।
সাংবাদিক শামীম আল আমিনের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা, ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের উপ প্রধান ও কবি মাহবুব হাসান সালেহ, কথাসাহিত্যিক জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত, অধ্যাপক মঞ্জুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, সাংবাদিক সৈয়দ মুহম্মদউল্লাহ, কথাসাহিত্যিক সিনহা মনসুর, আগামী প্রকাশনীর মালিক ওসমান গণি, ‘পিপল এন টেক ইন্সটিটিউট’ এর প্রতিষ্ঠাতা আবু হানিপ ও নিউ ইয়র্ক ইন্স্যুরেন্সের মালিক শাহনেওয়াজ।
সাদিয়া ফয়জুননেসা বলেন, “মূলধারার সাহিত্যের সঙ্গে হুমায়ূন সাহিত্যের যদি যোগসূত্র ঘটাতে পারি, পরিচয় করিয়ে দিতে পারি, তাহলে আমার মনে হয় সেটি অনেক অর্থবহ হবে। আমাদের আন্তরিকভাবে সচেষ্ট থাকতে হবে, এ মহান লেখকের মহান সাহিত্যকর্মকে আমেরিকানদের মাঝে বিস্তৃত করতে।”
মেহের আফরোজ শাওন বলেন, “যাদের জন্ম ও বেড়ে ওঠা এই যুক্তরাষ্ট্রে তাদের পরিচয় হয়তো এখনও ঘটেনি হুমায়ূণ আহমেদের লেখা ও শিল্পকর্মের সঙ্গে। তারা হয়তো এমনি নামে চেনেন। হুমায়ূনের সৃষ্টিকর্মের সঙ্গে নতুন প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব মা-বাবার। আশা করবো, প্রবাসের অভিভাবকেরা পারিবারিকভাবে সে চেষ্টা করবেন।”
জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত বলেন, “হুমায়ূন আহমেদ আর আমি রাস্তার এপার-ওপারের বাসায় ছিলাম। কখনো কথা হয়নি। তেমনভাবে মেলামেশাও করিনি। তবে শেষের দিকে, তার সঙ্গে আমার এমন সম্পর্ক গড়ে উঠেছে যে, আমার জীবন থেকে কখনো হুমায়ূন হারিয়ে যাবেন না। কারণ, যে হুমায়ূনকে আমরা জেনেছি, যে হুমায়ূনকে মানুষ ভালোবেসেছে, সেই হুমায়ূনের বাইরে আরেকটি হুমায়ূন রয়েছে।”
নঈম নিজাম বলেন, “কলকাতার দেশ পত্রিকার পূজা সংখ্যায় টানা নয়বার হুমায়ূনের লেখা ছাপা হয়েছিল। অর্থাৎ হুমায়ূনের জনপ্রিয়তা বাংলাদেশের মতো ভারতেও ছিল। পশ্চিমবঙ্গেও তার জনপ্রিয়তা সমান্তরালভাবে ছিল।”
আবু হানিপ বলেন, “হুমায়ূন মেলা প্রতি বছরই করতে হবে বাংলা সাহিত্যের প্রকৃত রূপ প্রবাস প্রজন্মে যথাযথভাবে উপস্থাপনের স্বার্থেই।”
মেলায় হুমায়ূণের প্রিয় গান পরিবেশন করেন মেহের আফরোজ শাওন, এস আই টুটুল, সায়রা রেজা, রানু নেওয়াজ, কৃষ্ণাতিথি, শাহ মাহবুব, কামরুজ্জামান বকুল, চন্দন চৌধুরী ও সেলিম ইব্রাহিম।
মেলায় আরও উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ, জেবিবিএর নেতা হারুন ভূইয়া, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা এনাম ও ফরিদ আলম, আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সালাম ভূইয়া, বিদিতা রহমান, কমিউনিটি নেতা ফাহাদ সোলায়মান ও আব্দুল কাদের চৌধুরী শাহীন।