রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রভাবমুক্ত রাখতে উদ্যোগ নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই লক্ষ্যে সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০০৮ সংস্কারে একটি প্রস্তাবও করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সেই প্রস্তাব থেকে সরে আসে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ৩৭তম সভায় ‘আচরণ বিধিমালা’ সংস্কার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। প্রতীক হিসেবে জীবন্ত প্রাণী ও কাপড়ের পোস্টার ব্যবহার নিষেধ করে আনা সংস্কারের বিষয়টি বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য রয়েছে।
ইসি সূত্রে জানা যায়, রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রভাবমুক্ত রাখতে বিধিমালার ১৪ ধারার ৪ উপ-ধারা সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছিল। এর যুক্তি হিসেবে বলা হয়েছিল, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের অধিকাংশই থাকেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক দলের নেতারা সভাপতি বা সদস্য হিসেবে বহাল থাকেন। সে কারণে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের ওপর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন তারা। আর এটা রোধের জন্যই দরকার সংস্কার।
আচরণবিধির ১৪ ধারার ৪ উপ-ধারায় বলা আছে, ‘কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে পূর্বে সভাপতি বা সদস্য হিসেবে নির্বাচিত বা মনোনীত হইয়া থাকিলে বা তদকর্তৃক কোনো মনোনয়ন প্রদত্ত হইয়া থাকিলে নির্বাচন-পূর্ব সময়ে তিনি বা মনোনীত ব্যক্তি উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো সভায় সভাপতিত্ব বা অংশগ্রহণ করিবেন না অথবা উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো কাজে জড়িত হইবেন না।’
অন্যদিকে সংস্কার প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, ‘কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সাংগঠনিক কমিটির কোনো সদস্য/নেতা/কর্মী কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে আগে সভাপতি বা সদস্য হিসেবে নির্বাচিত বা মনোনীত হয়ে থাকলে বা কোনো মনোনয়ন প্রদান করা হয়ে থাকলে, নির্বাচন-পূর্ব সময়ে তিনি বা সেসব মনোনীত ব্যক্তি উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে থাকিতে পারবেন না।’ সুত্র : আমাদের সময় কম