মতিঝিলের নিজ চেম্বারে বিএনপি, জেএসডি ও নাগরিক ঐক্যের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছেন জাতীয় ঐক্যের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
শনিবার সন্ধ্যায় ৬টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন হচ্ছে। এখান থেকে ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’ নামে নতুন একটি জোটের ঘোষণা দেয়া হচ্ছে।সংবাদ সম্মেলন পরিচালনা করছেন সাবেক আওয়ামী লীগের নেতা সুলতান মুহাম্মাদ মনসুর। সভাপতিত্ব করছেন ড. কামাল হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত আছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ। এর আগে মতিঝিলের নিজ চেম্বারে বিএনপি, জেএসডি ও নাগরিক ঐক্যর নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে এই বৈঠক শেষ হয়। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায়ের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যের দাবি ও লক্ষ্যের খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে। এখন সেগুলো চূড়ান্ত করতেই এই বৈঠক হয়।
এদিকে, বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার অংশ যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান ও বিকল্পধারা সভাপতি অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দাজা চৌধুরী সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বারিধারায় সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন। শনিবার দুপুরে ড. কামাল হোসেনের আমন্ত্রণে বেইলি রোডের বাসায় গিয়ে তাকে না পেয়ে ফিরে আসেন বি. চৌধুরী ও অন্যরা।
সেখানেই ক্ষুব্ধ বিকল্পধারার যুগ্ম-মহাসচিব ও বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ছেলে মাহী বি. চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ড. কামাল হোসেন আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু, আমরা বাড়িতে গিয়ে কামাল হোসেন দূরে থাক, গেট খুলে দেয়ার মতো একটি লোকও পাইনি।’ তিনি এই ঘটনাকে রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত ও নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেন। মাহী বলেন, ‘এ ঘটনায় স্পষ্ট হয়ে গেল, কারা সত্যিকার অর্থে জাতীয় ঐক্য চান না।’ এ ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বারিধারায় সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে যুক্তফ্রন্ট। বি. চৌধুরীর প্রেসসচিব জাহাঙ্গীর আলম পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলনে স্যার (বি. চৌধুরী) তার বক্তব্য তুলে ধরবেন।’