
মানবাধিকার লঙ্ঘন হলেও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের প্রতিকার পায় না। অথচ মানবাধিকার প্রত্যেক মানুষের জন্মগত মৌলিক অধিকার। সরকার মানুষের মৌলিক মানবাধিকার রক্ষা না করে উল্টো হরণ করছে। প্রবীণ সাংবাদিক মমতাজ বিলকিস বলেন, দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নেই। জানমালের নিরাপত্তা ও বাকস্বাধীনতা নেই। দেশে এক দুঃসহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সরকার বিনাভোটে ক্ষমতাসীন হয়ে গণতন্ত্র হত্যা করেছে। বিরোধী দল ও মতকে তারা সহ্য করতে পারছে না। দেশের মানুষকে জিম্মি করে স্বৈরাচারী শাসন চালাচ্ছে। মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় খালেদা জিয়াকে নির্জন কারাগারে আটক রেখেছে। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে মানহানির মামলায় গ্রেপ্তার করে সাধারণ কয়েদীদের সঙ্গে রাখা হয়েছে। সিনিয়র সাংবাদিক ইব্রাহিম মন্ডলকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে চুরির মামলা দিয়ে সরকার তার হিংসাত্মক চেহারা জাতির সামনে উন্মোচিত করেছে। এরআগে আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার করে অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক আফতাব আহমদসহ সাংবাদিক হত্যার বিচার আমরা পাইনি। উল্টো সাংবাদিকদের কন্ঠরোধের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আমাদের উপহার দিয়েছে। এই আইন মিডিয়া নিশ্চিহ্নের চক্রান্ত। আমরা এই আইন মানিনা। রোজি ফেরদৌস বলেন, বাংলাদেশের জনগণ তাদের কষ্টার্জিত গণতন্ত্র এবং অধিকারগুলো আজ আবার হারিয়ে ফেলেছে। তথাকথিত উন্নয়নের নামে শোষণ, বঞ্চনা, লুটপাট ও অত্যাচারের এক দুঃসহ দুঃশাসন আজ জনগণের বুকের ওপর চেপে বসেছে। এই স্বৈরশাসন জনগণকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। মানুষের কাজের সংস্থান নেই। চাকরির খোঁজে লুকিয়ে বিদেশে যাবার পথে আমাদের তরুণেরা সাগরে ডুবে মরছে। তিনি বলেন, কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট, শেয়ার বাজার ও ব্যাংক লুট, ১১ গুণ বেশি দামে ইভিএম ক্রয়, ৬গুণ বেশি দামে পদ্মা সেতু নির্মাণের নামে জনগনের অর্থ হরিলুট করে বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। অপহরণ, গুম, খুনের এক ভয়াবহ বিভীষিকায় বাংলাদেশ আজ ছেয়ে গেছে। ঘরে ঘরে আজ স্বজন হারানো কান্নার রোল। হেনস্তা ও অপমানের ভয়ে নাগরিক সমাজ স্বাধীন মতপ্রকাশের সাহস হারিয়ে ফেলেছে। আমরা সাংবাদিকরাও ডিজিটাল আইনের কারণে সত্য লেখার সাহস পাচ্ছিনা। লাবিন রহমান বলেন, দেশে ন্যায়বিচার ও ইনসাফ নেই। জনগণের কোনো নিরাপত্তা নেই। নারীরা প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। ফাহমিদা আহমেদ বলেন, এই শাসকদের কোনো গণভিত্তি নেই। পেশীশক্তি, সন্ত্রাস ও রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোকে জনগণের বিরুদ্ধে অপব্যবহার করে ওরা টিকে আছে। কিন্তু আমরা গণতন্ত্র চাই, বাকস্বাধীনতা চাই। আমরা লেখার স্বাধীনতা চাই। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্র ফেরত দিতে হবে। আমরা এমন একটি নির্বাচন চাই যে নির্বাচনে দেশের সকল দল অংশগ্রহণ করবে এবং মানুষ ভোট দিতে পারবে।