মিরপুরের ঐতিহ্যবাহী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের তোরণ নির্মাণ করা হচ্ছিল নতুন করে। কাজও প্রায় শেষ হয়ে এসেছিল। অপেক্ষায় ছিল উদ্বোধন হওয়ার। কিন্তু তার আগেই গত রাতে এমনি এমনি ভেঙে পড়ে নির্মিতব্য তোরণ টি।
নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী,অসৎ মানুষদের দিয়ে তদারকির কারণেই এই ঘটনা ঘটে। গুরতর আহত হোন ৫ জন। তাদের অবস্থা আসঙ্কা জনক। আহতদের মিরপুর আল হেলাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তোরণটি ভেঙে পড়ায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে এ ঘটনার জন্য স্থানীয় এমপি কামাল আহমেদ মজুমদারকে দায়ী করেন। এলাকাবাসী জানান, এমপি কামাল আহমেদ মজুমদারের সীমাহীন দূর্নীতি,একচেটিয়া দাপটের কারণেই এলাকায় একের পর এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের মুখে।
২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পরই মিরপুরের বেঙ্গল মিডিয়াম স্কুলকে ভেঙে মার্কেটে পরিণত করে। তারপর মিরপুরের ঐতিহ্যবাহী স্কুল মণিপুর উচ্চ বিদ্যালয়কে এমপিও ভুক্ত থেকে বাদ দিয়ে ট্রাস্টি গঠনের মাধ্যমে শুরু করে সীমাহীন দূর্নীতি। ভর্তি বানিজ্য সহ, ইচ্ছেমতোন বেতন ও ফি আদায়ের অভিযোগ করেন অভিভাবকগন। অভিভাবকদের আন্দোলনের মুখেও থামেনি তার এ নৈরাজ্যতা। আরটিভির মিডিয়া কর্মীদের গায়েও হাত তোলেন ভর্তি বানিজ্য নিয়ে রিপোর্ট করতে আসায়। এদিকে আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের জমি বিভিন্ন কোম্পানীকে মার্কেট করবার জন্য লীজ দেন তিনি। সরেজমিনে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে এর সত্যতা পাওয়া যায়। খুব শিঘ্রীই এসব দূর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে ঢাকা ১৫ আসনের শিক্ষা ব্যবস্থা তলানীতে গিয়ে ঠেকবে বলে মনে করেন এলাকাবাসী