
বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন তাঁর সরকারের মন্ত্রী এবং শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা রাস্তাঘাট বন্ধ করে দিয়েছে। যাতে আমার নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে সমবেত হতে না পারে বলে মন্তব্য করেছেন কৃর্ষক শ্রমিক জানতা লীগ বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।
রোববার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন (আইইবির) মিলনায়তনে মিলন মেলা উদযাপন কমিটি আয়োজিত ‘৭৫ এর বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধ যুদ্ধে জাতীয় মুক্তিবাহিনীর যোদ্ধাদের মিলন মেলা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, এই আওয়ামী লীগ আর আমাদের সময়ের আওয়ামী লীগ এক নয়। আমরা ইয়াহিয়ার জন্য রাস্তাঘাট বন্ধ করেছিলাম। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার থাকতে ১৯৭৫, এর বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধ সংগ্রামীদের মিলন মেলার দিন রাস্তাঘাট, গণপরিবহন বন্ধ করা হয়েছে। এমন শত্রুতা আমি আমার জীবনে দেখি নাই। এই কারণে আমি এই আওয়ামী লী থেকে চলে এসেছি।
আগস্ট মসে জাতীয় শোক দিবস কাদের সিদ্দিকী এই মিলনমেলার আয়োজনের কথা বলেছিলেন। তার পরেও কোনো এই অনুষ্ঠানের দিন ধর্মঘট। আজকে সবকিছু বন্ধ। বাংলাদেশে এমন হয়, আমার জানা ছিল না। শাজাহান খান একদিকে শ্রমিক নেতা। আরেকদিকে সরকারের মন্ত্রী। আমি কারও সঙ্গে বিরোধ করতে যাইনি। কিন্তু ন্যায়ের প্রসঙ্গে অন্যায়ের সঙ্গে আপস করতে যাইনি। কোনো ইন্ধন না থাকলে ঠিক এইদিনে সারা দেশে পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে। আমি এটা কিছুতেই মানতে পারি না। যখন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন তাঁর সরকারের মন্ত্রী এবং শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা রাস্তাঘাট বন্ধ করে দিয়েছে। যাতে আমরা এক সাথে হয়ে বিচারের দাবি করতে না পারি। কিন্তু সকল কিছু উপেক্ষা করে নেতাকর্মীরা এই মিলন মেলায় সমাবিত হয়েছে।
এ সময় তিনি ‘৭৫ এর বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধ যুদ্ধে জাতীয় মুক্তিবাহিনীর যোদ্ধাদের মিলন মেলা সংগঠনকে রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় স্বীকৃতি দেয়ার দাবি জানান। আর যদি না দিতে পারে তাহলে এই সরকারকে বলতে হবে, বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদ করে তাঁরা অন্যায় করেছে। তাঁদের বিচার করতে হবে। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে যাঁরা শহীদ হয়েছিলেন, তাঁদের জন্য জাতীয় সংসদে তিনবার শোক প্রস্তাব দিলেও তা গ্রহণ করা হয়নি।
এই মিলন মেলার জন্য কাদের সিদ্দিকী প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি দেওয়ার কথাও জানান। কিন্তু কোনো প্রতিক্রিয়া পাননি। ‘যদি এই প্রতিরোধ সংগ্রামীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না দেওয়া হয়, তাহলে এত দিন মুখ বুজে থাকলেও আর থাকব না। সুত্র : আমাদের সময় কম