বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। নৈশভোজের এই আয়োজনে কূটনীতিকরা ছাড়াও বিএনপি, যুক্তফ্রন্ট ও ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতারাও ছিলেন।
মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় মঈন খানের গুলশানের নিজ বাসায় এ নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার পর কূটনীতিকরা আসতে শুরু হয় করলেও রাত ৮টায় বার্নিকাট এবং রাত ৯টায় নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না আসলে বৈঠকটি শুরু হয়। চলে রাত১১ টা পর্যন্ত।
নৈশভোজের এই আয়োজন বিএনপি চেয়ারপার্সনে মুক্তি, সুষ্ঠু নির্বাচন, নির্বাচনকালীন সরকার,এবং নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে আলোচনা হয় বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়।
নৈশভোজে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, নরওয়ে, নেপাল ও স্পেনের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত, নেদারল্যান্ডস এর উপ-হাইকমিশনার উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এমএ কাইয়ুম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর,তারেক রহমানের স্ত্রীর জোবাইদা রহমানের বড় বোন শাহিনা খান।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এখানে আমাদের কোন বৈঠক ছিলনা । তাছাড়া রাজনীতিক কোন আলোচনাও হয়নি। শুধুই নৈশভোজ।
কূটনীতিকদের সঙ্গে র্দীঘ সময়ের কি
আলোচনা হলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কূটনীতিকদের সঙ্গে নৈশভোজের আয়োজন ছিল। তাই এসেছি তবে রাজনীতি কোন বিষয়ে আলোচনা নয়।
তবে বৈঠক শেষে কূটনীতিকরা হাসিমুখে ফিরলেও বিএনপির মহা সচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে মন খারাপ অবস্থায় দেখা যায়। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন কথা বলেননি। সুত্র:আমাদের সময় কম