অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে তফসিল ঘোষণার আগে সংসদ ভেঙে দিয়ে ‘নিরপেক্ষ তদারকি সরকার’ গঠনের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ১০ দফা দাবি উত্থাপন করে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নির্বাচন কমিশন ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ছিল আজ। রাষ্ট্রের প্রতিটি রাজনৈতিক দল তাদের শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলন করার অধিকার রাখে। এই অধিকার সাংবিধানিক।

আজ সকালে বাম গণতান্ত্রিক জোট প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দিকে যাবার পথে বিনা উস্কানিতে পুলিশের বর্বরোচিত হামলার শিকার হয়। এতে জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ও সিপিবি কেন্দ্রীয় নারী সেলের সদস্য লূনা নূরসহ অন্তত অর্ধশত আহত হন। এদের মধ্যে সাইফুল হককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এই সরকার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ভীষণ সংকুচিত করছে বহুদিন আগে থেকেই, কিন্তু নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন সেটা একেবারে ভয়ঙ্কর পর্যায়ে চলে গেছে। দেশকে একটা পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। সরকারের এমন আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানাই আমরা। আমরা দাবি করি, ভবিষ্যতে সরকার মানুষের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে কোনো প্রকার বাধা দেবে না। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ এবং আন্দোলনে এমন কোনো বাধা প্রদানের ঘটনা আবারও ঘটলে জনগণ সেটার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলবে।

জনাব মাহমুদুর রহমান মান্নার ফেসবুক পেজ থেকে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading