
রায়হান ফিরদাউস : ১৫ সেপ্টেম্বর “জয় বাংলা” শ্লোগানের জন্মদিন।এই সেই শ্লোগান যা ছিলো একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের রণ হুংকার।
১৯৬৯ সালের শরত কালের এই দিনে তৎকালীন পুর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের আয়োজনে একটি কর্মীসভা চলছিলো। ঐতিহাসিক মধুর ক্যান্টিন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরিরর ঠিক মধ্যিখানে,এখন যেখানে সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ ভবনটি দাঁড়িয়ে আছে,ঠিক সেখানে।উদ্দেশ্য ছিলো ১৭ ই সেপ্টেম্বর মহান শিক্ষা দিবসটি সুন্দর,সফল এবং ব্যাপকভাবে পালন করার প্রস্তুতি নেয়া।
কর্মীসভাটি চলছিল স্বাভাবিক গতিতে।উনসত্তুরের সফল গণ অভ্যুত্থানের পর ছাত্রলীগ তখন তরুন ছাত্রকর্মীদের সব চাইতে নির্ভরযোগ্য ঠিকানা।সুতরাং কর্মীসভাটির আকার হয়ে উঠেছিল বিরাট।নেতাদের বক্তৃতার মাঝে মাঝে চলছিলো শ্লোগান;সে শ্লোগান ধ্বনিতে কেঁপে উঠছিলো আশপাশ।
এরই এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের প্রতিভাবান জৈষ্ঠ সংগঠক আফতাব প্রায় সবাইকে চমকে দিয়ে শ্লোগান দিলেন,”জয় বাংলা”।আমরা জনা সাতেক কর্মী প্রতিধ্বনি দিলাম জয় বাংলা বলে।এরপর আফতাব বেশ কয়েকবার এই শ্লোগানটি দেন এবং শেষের দিকে উপস্থিত সংখ্যাগরিষ্ঠ কর্মীরা এর প্রত্যোত্তর দেন।যেহেতু এটি নতুন শ্লোগান এবং ছাত্রলীগের অভ্যন্তরে দুটি ধারার ধারাবাহিক মতবাদিক সংগ্রাম চলছিল,তাই এই জয় বাংলা শ্লোগান নিয়ে অনেক তর্ক বিতর্কও চলে ছাত্রলীগ -আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে।এবং সব শেষে জয় হয় “জয় বাংলা “শ্লোগানের।সে আরেক কাহিনী,আর এক অধ্যায়।
পূর্ব কথা:
উনসত্তুরের গণ অঅভ্যুত্থান সংঘটিত হওয়ার ফলে জাতীয় বীর হিসেবে শেখ মুজিবের উজ্জ্বল উত্তান তাঁকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। বাংলার জনগনমন অধিনায়ক বঙ্গবন্ধু এর পরই তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান সফরে যান বাইশ সদস্যের এক বিরাট দল নিয়ে।সেই সফরে তাঁর সঙ্গী হয়েছিলেন ছাত্রলীগের সভাপতি প্রয়াত আবদুর রউফ।তিনি পাকিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে ছাত্রলীগকে সংগঠিত করার প্রয়াস নেন।বিশেষ করে সিন্ধু প্রদেশের রাজধানী করাচিতে বসবাসকারী বাঙ্গালি ছাত্রদের নিয়ে ছাত্রলীগের কমিটিও করেন।নির্বাচন করে দেন বেশ কয়েকটি শ্লোগান।তার মধ্যে অন্যতম ছিলো,”তোমার আমার ঠিকানা,সিন্ধু মেঘনা যমুনা”।সেখানে পাকিস্তানের অনেক নেতাদের সংগে ছাত্রনেতা রউফের সাক্ষাৎ হয়। তবে তিনি খুবই উচ্ছসিত হন তখনকার সিন্ধী নেতা জি এম সাইদ সাথে পরিচিত হয়ে।অত্যন্ত স্বাধীনচেতা সিন্ধী জনসাধারনের সবচাইতে জনপ্রিয় শ্লোগান ছিলো,”জিয়ে সিন্ধ’।
ঢাকায় ফিরে এসে একদিন মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগ সভাপতি আবদুর রউফ তাঁর পশ্চিম পাকিস্তান সফরের অভিজ্ঞতা বর্ননা করছিলেন নেতৃস্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মিদের সাথে।কিভাবে এক ইউনিটের বিরুদ্ধে সেখানকার মানুষ,বিশেষ করে বেলুচিস্তান এবং সিন্ধের মানুষ একাট্টা হয়ে সংগ্রাম করছে।বিশেষ করে সিন্ধী জনগনের প্রাণপ্রিয় শ্লোগান জিয়ে সিন্ধের কথাও তিনি আবেগ দিয়ে বর্ননা করেন।উপস্থিত ছাত্রনেতা কর্মিদের মধ্যে হাজির ছিলেন জিন্নাহ হলের(সুর্য সেন হল) ছাত্রলীগ নেতা আফতাব।তিনি সংগে সংগে প্রস্তাব রাখার ভঙ্গীতে বলে উঠলেন,রউফ ভাই, সিন্ধীরা যদি জিয়ে সিন্ধ শ্লোগান দিতে পারে,তাইলে আমরা বাঙালীরা “জয় বাংলা” শ্লোগান দিতেই পারি।
সেই থেকেই শুরু তার প্রায় একক অভিযান “জয় বাংলা” শ্লোগানকে বাঙলার জাতীয় মুক্তিংগ্রামের মুখ্য শ্লোগান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার।তারই ফলশ্রুতি ১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৬৯ সালের এই দিনে আফতাবের কন্ঠেই সর্ব প্রথম উত্থিত “জয় বাংলা” শ্লোগান ধ্বনি।তাই প্রকৃতপ্রস্তাবে তিনিই জয় বাংলা শ্লোগানের উদগাতা।
আজ মনে পড়ে যায়,সংগ্রাম,যুদ্ধ এবং বিজয়ের এই মহাকাব্যিক শ্লোগানকে ছাত্রজনতার মাঝে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নিরলস সৃজনশীল মেধা নিয়োজিত করেছিলেন যারা—-সেই শহীদ চিশতি,আ ফ ম মাহবুবুল হক,শহীদ নজরুল, গোলাম ফারুখ,ইউসুফ সালাহ উদ্দীন,একরাম সহ অনেক সহযোদ্ধার কথা।
আজ, উনিশ শো সত্তুর একাত্তরে যে একটি শ্লোগানে বাংলাদেশ হয়ে উঠেছিল উদ্বেল, সেই অবিনাশী “জয় বাংলা” শ্লোগানের জন্মদিনে তোমাকে অভিবাদন বাংলাদেশ।
জয় বাংলা।
১৫ সেপ্টেম্বর “জয় বাংলা” শ্লোগানের জন্মদিন।এই সেই শ্লোগান যা ছিলো একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের রণ হুংকার।
১৯৬৯ সালের শরত কালের এই দিনে তৎকালীন পুর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের আয়োজনে একটি কর্মীসভা চলছিলো। ঐতিহাসিক মধুর ক্যান্টিন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরিরর ঠিক মধ্যিখানে,এখন যেখানে সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ ভবনটি দাঁড়িয়ে আছে,ঠিক সেখানে।উদ্দেশ্য ছিলো ১৭ ই সেপ্টেম্বর মহান শিক্ষা দিবসটি সুন্দর,সফল এবং ব্যাপকভাবে পালন করার প্রস্তুতি নেয়া।
কর্মীসভাটি চলছিল স্বাভাবিক গতিতে।উনসত্তুরের সফল গণ অভ্যুত্থানের পর ছাত্রলীগ তখন তরুন ছাত্রকর্মীদের সব চাইতে নির্ভরযোগ্য ঠিকানা।সুতরাং কর্মীসভাটির আকার হয়ে উঠেছিল বিরাট।নেতাদের বক্তৃতার মাঝে মাঝে চলছিলো শ্লোগান;সে শ্লোগান ধ্বনিতে কেঁপে উঠছিলো আশপাশ।
এরই এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের প্রতিভাবান জৈষ্ঠ সংগঠক আফতাব প্রায় সবাইকে চমকে দিয়ে শ্লোগান দিলেন,”জয় বাংলা”।আমরা জনা সাতেক কর্মী প্রতিধ্বনি দিলাম জয় বাংলা বলে।এরপর আফতাব বেশ কয়েকবার এই শ্লোগানটি দেন এবং শেষের দিকে উপস্থিত সংখ্যাগরিষ্ঠ কর্মীরা এর প্রত্যোত্তর দেন।যেহেতু এটি নতুন শ্লোগান এবং ছাত্রলীগের অভ্যন্তরে দুটি ধারার ধারাবাহিক মতবাদিক সংগ্রাম চলছিল,তাই এই জয় বাংলা শ্লোগান নিয়ে অনেক তর্ক বিতর্কও চলে ছাত্রলীগ -আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে।এবং সব শেষে জয় হয় “জয় বাংলা “শ্লোগানের।সে আরেক কাহিনী,আর এক অধ্যায়।
পূর্ব কথা:
উনসত্তুরের গণ অঅভ্যুত্থান সংঘটিত হওয়ার ফলে জাতীয় বীর হিসেবে শেখ মুজিবের উজ্জ্বল উত্তান তাঁকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। বাংলার জনগনমন অধিনায়ক বঙ্গবন্ধু এর পরই তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান সফরে যান বাইশ সদস্যের এক বিরাট দল নিয়ে।সেই সফরে তাঁর সঙ্গী হয়েছিলেন ছাত্রলীগের সভাপতি প্রয়াত আবদুর রউফ।তিনি পাকিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে ছাত্রলীগকে সংগঠিত করার প্রয়াস নেন।বিশেষ করে সিন্ধু প্রদেশের রাজধানী করাচিতে বসবাসকারী বাঙ্গালি ছাত্রদের নিয়ে ছাত্রলীগের কমিটিও করেন।নির্বাচন করে দেন বেশ কয়েকটি শ্লোগান।তার মধ্যে অন্যতম ছিলো,”তোমার আমার ঠিকানা,সিন্ধু মেঘনা যমুনা”।সেখানে পাকিস্তানের অনেক নেতাদের সংগে ছাত্রনেতা রউফের সাক্ষাৎ হয়। তবে তিনি খুবই উচ্ছসিত হন তখনকার সিন্ধী নেতা জি এম সাইদ সাথে পরিচিত হয়ে।অত্যন্ত স্বাধীনচেতা সিন্ধী জনসাধারনের সবচাইতে জনপ্রিয় শ্লোগান ছিলো,”জিয়ে সিন্ধ’।
ঢাকায় ফিরে এসে একদিন মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগ সভাপতি আবদুর রউফ তাঁর পশ্চিম পাকিস্তান সফরের অভিজ্ঞতা বর্ননা করছিলেন নেতৃস্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মিদের সাথে।কিভাবে এক ইউনিটের বিরুদ্ধে সেখানকার মানুষ,বিশেষ করে বেলুচিস্তান এবং সিন্ধের মানুষ একাট্টা হয়ে সংগ্রাম করছে।বিশেষ করে সিন্ধী জনগনের প্রাণপ্রিয় শ্লোগান জিয়ে সিন্ধের কথাও তিনি আবেগ দিয়ে বর্ননা করেন।উপস্থিত ছাত্রনেতা কর্মিদের মধ্যে হাজির ছিলেন জিন্নাহ হলের(সুর্য সেন হল) ছাত্রলীগ নেতা আফতাব।তিনি সংগে সংগে প্রস্তাব রাখার ভঙ্গীতে বলে উঠলেন,রউফ ভাই, সিন্ধীরা যদি জিয়ে সিন্ধ শ্লোগান দিতে পারে,তাইলে আমরা বাঙালীরা “জয় বাংলা” শ্লোগান দিতেই পারি।
সেই থেকেই শুরু তার প্রায় একক অভিযান “জয় বাংলা” শ্লোগানকে বাঙলার জাতীয় মুক্তিংগ্রামের মুখ্য শ্লোগান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার।তারই ফলশ্রুতি ১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৬৯ সালের এই দিনে আফতাবের কন্ঠেই সর্ব প্রথম উত্থিত “জয় বাংলা” শ্লোগান ধ্বনি।তাই প্রকৃতপ্রস্তাবে তিনিই জয় বাংলা শ্লোগানের উদগাতা।
আজ মনে পড়ে যায়,সংগ্রাম,যুদ্ধ এবং বিজয়ের এই মহাকাব্যিক শ্লোগানকে ছাত্রজনতার মাঝে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নিরলস সৃজনশীল মেধা নিয়োজিত করেছিলেন যারা—-সেই শহীদ চিশতি,আ ফ ম মাহবুবুল হক,শহীদ নজরুল, গোলাম ফারুখ,ইউসুফ সালাহ উদ্দীন,একরাম সহ অনেক সহযোদ্ধার কথা।
আজ, উনিশ শো সত্তুর একাত্তরে যে একটি শ্লোগানে বাংলাদেশ হয়ে উঠেছিল উদ্বেল, সেই অবিনাশী “জয় বাংলা” শ্লোগানের জন্মদিনে তোমাকে অভিবাদন বাংলাদেশ।
জয় বাংলা।
১৫ সেপ্টেম্বর “জয় বাংলা” শ্লোগানের জন্মদিন।এই সেই শ্লোগান যা ছিলো একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের রণ হুংকার।
১৯৬৯ সালের শরত কালের এই দিনে তৎকালীন পুর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের আয়োজনে একটি কর্মীসভা চলছিলো। ঐতিহাসিক মধুর ক্যান্টিন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরিরর ঠিক মধ্যিখানে,এখন যেখানে সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ ভবনটি দাঁড়িয়ে আছে,ঠিক সেখানে।উদ্দেশ্য ছিলো ১৭ ই সেপ্টেম্বর মহান শিক্ষা দিবসটি সুন্দর,সফল এবং ব্যাপকভাবে পালন করার প্রস্তুতি নেয়া।
কর্মীসভাটি চলছিল স্বাভাবিক গতিতে।উনসত্তুরের সফল গণ অভ্যুত্থানের পর ছাত্রলীগ তখন তরুন ছাত্রকর্মীদের সব চাইতে নির্ভরযোগ্য ঠিকানা।সুতরাং কর্মীসভাটির আকার হয়ে উঠেছিল বিরাট।নেতাদের বক্তৃতার মাঝে মাঝে চলছিলো শ্লোগান;সে শ্লোগান ধ্বনিতে কেঁপে উঠছিলো আশপাশ।
এরই এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের প্রতিভাবান জৈষ্ঠ সংগঠক আফতাব প্রায় সবাইকে চমকে দিয়ে শ্লোগান দিলেন,”জয় বাংলা”।আমরা জনা সাতেক কর্মী প্রতিধ্বনি দিলাম জয় বাংলা বলে।এরপর আফতাব বেশ কয়েকবার এই শ্লোগানটি দেন এবং শেষের দিকে উপস্থিত সংখ্যাগরিষ্ঠ কর্মীরা এর প্রত্যোত্তর দেন।যেহেতু এটি নতুন শ্লোগান এবং ছাত্রলীগের অভ্যন্তরে দুটি ধারার ধারাবাহিক মতবাদিক সংগ্রাম চলছিল,তাই এই জয় বাংলা শ্লোগান নিয়ে অনেক তর্ক বিতর্কও চলে ছাত্রলীগ -আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে।এবং সব শেষে জয় হয় “জয় বাংলা “শ্লোগানের।সে আরেক কাহিনী,আর এক অধ্যায়।
পূর্ব কথা:
উনসত্তুরের গণ অঅভ্যুত্থান সংঘটিত হওয়ার ফলে জাতীয় বীর হিসেবে শেখ মুজিবের উজ্জ্বল উত্তান তাঁকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। বাংলার জনগনমন অধিনায়ক বঙ্গবন্ধু এর পরই তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান সফরে যান বাইশ সদস্যের এক বিরাট দল নিয়ে।সেই সফরে তাঁর সঙ্গী হয়েছিলেন ছাত্রলীগের সভাপতি প্রয়াত আবদুর রউফ।তিনি পাকিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে ছাত্রলীগকে সংগঠিত করার প্রয়াস নেন।বিশেষ করে সিন্ধু প্রদেশের রাজধানী করাচিতে বসবাসকারী বাঙ্গালি ছাত্রদের নিয়ে ছাত্রলীগের কমিটিও করেন।নির্বাচন করে দেন বেশ কয়েকটি শ্লোগান।তার মধ্যে অন্যতম ছিলো,”তোমার আমার ঠিকানা,সিন্ধু মেঘনা যমুনা”।সেখানে পাকিস্তানের অনেক নেতাদের সংগে ছাত্রনেতা রউফের সাক্ষাৎ হয়। তবে তিনি খুবই উচ্ছসিত হন তখনকার সিন্ধী নেতা জি এম সাইদ সাথে পরিচিত হয়ে।অত্যন্ত স্বাধীনচেতা সিন্ধী জনসাধারনের সবচাইতে জনপ্রিয় শ্লোগান ছিলো,”জিয়ে সিন্ধ’।
ঢাকায় ফিরে এসে একদিন মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগ সভাপতি আবদুর রউফ তাঁর পশ্চিম পাকিস্তান সফরের অভিজ্ঞতা বর্ননা করছিলেন নেতৃস্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মিদের সাথে।কিভাবে এক ইউনিটের বিরুদ্ধে সেখানকার মানুষ,বিশেষ করে বেলুচিস্তান এবং সিন্ধের মানুষ একাট্টা হয়ে সংগ্রাম করছে।বিশেষ করে সিন্ধী জনগনের প্রাণপ্রিয় শ্লোগান জিয়ে সিন্ধের কথাও তিনি আবেগ দিয়ে বর্ননা করেন।উপস্থিত ছাত্রনেতা কর্মিদের মধ্যে হাজির ছিলেন জিন্নাহ হলের(সুর্য সেন হল) ছাত্রলীগ নেতা আফতাব।তিনি সংগে সংগে প্রস্তাব রাখার ভঙ্গীতে বলে উঠলেন,রউফ ভাই, সিন্ধীরা যদি জিয়ে সিন্ধ শ্লোগান দিতে পারে,তাইলে আমরা বাঙালীরা “জয় বাংলা” শ্লোগান দিতেই পারি।
সেই থেকেই শুরু তার প্রায় একক অভিযান “জয় বাংলা” শ্লোগানকে বাঙলার জাতীয় মুক্তিংগ্রামের মুখ্য শ্লোগান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার।তারই ফলশ্রুতি ১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৬৯ সালের এই দিনে আফতাবের কন্ঠেই সর্ব প্রথম উত্থিত “জয় বাংলা” শ্লোগান ধ্বনি।তাই প্রকৃতপ্রস্তাবে তিনিই জয় বাংলা শ্লোগানের উদগাতা।
আজ মনে পড়ে যায়,সংগ্রাম,যুদ্ধ এবং বিজয়ের এই মহাকাব্যিক শ্লোগানকে ছাত্রজনতার মাঝে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নিরলস সৃজনশীল মেধা নিয়োজিত করেছিলেন যারা—-সেই শহীদ চিশতি,আ ফ ম মাহবুবুল হক,শহীদ নজরুল, গোলাম ফারুখ,ইউসুফ সালাহ উদ্দীন,একরাম সহ অনেক সহযোদ্ধার কথা।
আজ, উনিশ শো সত্তুর একাত্তরে যে একটি শ্লোগানে বাংলাদেশ হয়ে উঠেছিল উদ্বেল, সেই অবিনাশী “জয় বাংলা” শ্লোগানের জন্মদিনে তোমাকে অভিবাদন বাংলাদেশ।
জয় বাংলা।