বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জাতিসংঘ মিশন নিয়ে রাজনীতির অঙ্গনে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে,আওয়ামীলীগের নেতার এমন কি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন,প্রধানমন্ত্রী বলেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বিএনপি মহাসচিবকে আমন্ত্রন জানাননি,প্রধানমন্ত্রীর এই কথার মধ্যে অনেক কথা আছে, বিএনপির মহাসচিবের সফর কোন ফল বয়ে আনলে বা এই সফরের কোন রাজনৈতিক গুরুত্ব না থাকলে প্রধানমন্ত্রী কোন মন্তব্য করতেন না।কি নিয়ে গিয়েছিলেন ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া যায় যখন আমরা দেখালাম ৪টি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতা কর্মীদের গ্রেফতার করা,বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দণ্ড প্রাপ্ত মামলায় জামিন পাওয়ার পরও অন্য বিচারাধীন মামলায় তাকে গ্রেফতার করে রাখা,কোটা বিরোধী আন্দোলন পুলিশ দ্বারা নিষ্ঠুর ভাবে দমন,নিরপদ সড়ক আন্দোলনে স্কুল ছাত্রদের দমন , দৃক গ্যালারীর শহিদুল আলম কে গ্রেফতার করা এবং জামিন না দেয়া,এবং আগামী জাতীয় নির্বাচন নিরপেক্ষ করার দাবীতে সরকার বিরোধী প্রায় সব দলেরই অভিন্ন অবস্থান নেয়া।এসবই জাতিসংঘে এবং মার্কিন থিঙ্ক ট্যাঙ্কদের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন ফখরুল ইসলাম আলমগীর,আরও বলা যেতে পারে বিএনপির নিরীহ মানববন্ধন এবং প্রতীকী অনশন থেকে গ্রেফতারের বিষয়টিও তাঁর নিয়ে যাওয়ার লাগেজ আরও ভারী করেছে, পুলিশের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড তথা দেশব্যাপী বিএনপি নেতা কর্মীদের গ্রেফতার করে ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নিউইয়র্ক যাত্রাকে আরও সহায়তা করেছে পুলিশ, পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে এরকমই মনে হয়।কিন্তু কি নিয়ে ফিরলেন মহাসচিব আলমগীর এটাও অনেক বড় প্রশ্ন, সরকারকে কতটা টলাতে পারবে জাতিসংঘ বা বিদেশী শক্তি গুলো,অতীতেও সরকার চাপের সম্মুখিন হয়েছিলো, কিন্তু সরকার টলাতে পারেনি,এবারো পারবে আপাতদৃষ্টিতে এরকম সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।সরকার প্রধান এবং দলের নেতাদের কথায় এরকমই মনে হচ্ছে।কি হবে তা আগাম বলা কঠিন,তারপরও অক্টোবরের প্রথম থেকেই রাজনীতির বাতাস কোন দিকে প্রবাহিত হয় তা দেখার জন্য আমাদের অপেক্ষায় থাকতে হবে,আর একটি কথা বেগম খালেদা জিয়া যদি জামিন পান বা তার পছন্দমত হাসপাতালে যেতে পারেন তা হলে ধরে নেয়া ভুল হবে না,এটা বিএনপি মহাসচিবের জাতিসংঘ মিশনেরই ফল ।
হাবিব বাবুল
প্রধান সম্পাদক,শুদ্ধস্বর ডটকম ।