
সোমবার দেশর ৪০টি জেলা থেকে আসা কেন্দ্রীয় ও তৃণমূল পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতাদের উপস্থিতিতে ‘শান্তিতে বিজয়’ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নেতারা এ অঙ্গীকার করেছেন। ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, দলটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ প্রমুখ।
বিএনপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু, বিলকিস জাহান শিরিন, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, রাশেদা বেগম হীরা, সাবেক সংসদ সদস্য নিলুফা চৌধুরী মনি প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেছেন, আমরা চাই সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ একটি নির্বাচন। সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন আমাদের প্রতিজ্ঞা। আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্টা করতে চাই। আমরা উন্নত আধুনিক বাংলাদেশ চাই, সেই সঙ্গে চাই গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ এমন একটি দেশ, যে দেশ সারাবিশ্বের আদর্শ হবে।
এইচ টি ইমাম বলেন, আমরা স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলাম এবং বিশ্বব্যাপী আমাদের সমর্থন ছিল। আমরা এখন গণতন্ত্রেরর জন্য লড়াই করছি। আমরা চাই আইনের শাসনভিত্তিক একটি দেশ। আমরা সকলে একসঙ্গে মিলে-মিশে দেশকে উন্নতির পথে নিয়ে যাব। যে যে পার্টিতেই থাকুন না কেন এগুলো সম্পর্কে কারো দ্বিমত নেই। এগুলো যদি ধরে নেন, তাহলে ঐতিহাসিকভাবে আমরা সবসময় শান্তির জন্য চেষ্টা করেছি। আবার শান্তির জন্য অনেক রক্ত দিয়েছি।
অপরদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেছেন, রাজনীতিতে শান্তি আসতে হলে সুবিচার প্রয়োজন। সুবিচার ছাড়া শান্তি সম্বব নয়। আমরা একটা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। শুধু তাই নয়, আমরা একটা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ চাই। এটাই তো আমাদের স্বাধীনতার লক্ষ্য ছিল।
এইদিকে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, গণতন্ত্র না থাকলে উন্নয়ন সম্ভব না। আমরা এ কথাই বলতে এসেছি। আমরা সামাজিক সুবিচার, রাজনৈতিক সুবিচার দাবি করি, এগুলো ছাড়া মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশের কথা ভাবা যায় না।
তিনি আরোও বলেন, আমরা রাজনৈতিক দল, সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষের হাতে হাত ধরে এগুতে চাই। কারণ একসঙ্গে কাজ করলে আমরা গণতন্ত্র ও উন্নয়ন আনতে পারব।