আম্পায়ারের নির্লজ্জ পক্ষপাতিত্ব

এশিয়া কাপের শুরু থেকেই ভারতের হয়ে নানা রকম বাহানা করেছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসএসি)। ভারতকে বাড়তি সুবিধা দিতে রাতের আধায়ের সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে। ভারত এক স্টেডিয়ামে খেললেও অন্যরা ১৫০ কিলোমিটার জার্নি করে ম্যাচ খেলে বেড়িয়েছে। ৪৫-৪৬ ডিগ্রি তাপমাত্রায় অন্যদের যখন নাভিশ্বাস তখন বাড়তি বিশ্রামে আয়েশ করেছে ভাতীয় ক্রিকেটাররা। এবার বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠের আম্পায়াররা ভারতের হয়ে নির্লজ্জ পক্ষপাতিত্ব করলেন।
শুরু থেকেই দারুণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলছিলেন বাংলাদেশের ওপেনার লিটন কুমার দাস। ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরিটাও তুলে নেন তিনি মাত্র ৮৭ বলে। ১২১ রান নিয়ে তিনি বাংলাদেশের ইনিংসকে সগর্বে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন সময়ই বিতর্কিত সিদ্ধান্তটির মুখোমুখি হলো লিটন কুমার দাস এবং বাংলাদেশ। ৪১তম ওভারে ইয়ুজবেন্দ্র চাহালের শেষ বলটি একটু এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে মিস করেন লিটন। বলটি ধরে সঙ্গে সঙ্গেই স্ট্যাম্প ভেঙে দেন কিপার ধোনি। আউটের আবেদন করলে ফিল্ড আম্পায়ার থার্ড আম্পায়ার কল করেন। টিভি আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন রড টাকার। বারবার রিপ্লে দেখা হলো। নানা কোন থেকে বিশ্লেষণ করা হলো। সব দেখাতেই, সব বিশ্লেষণেই দেখা যাচ্ছিল, স্ট্যাম্প ভাঙার আগেই লিটনের পা লাইন স্পর্শ করে ফেলেছিল। এমনকি পা ছিল গ্রাউন্ডেই। এই প্রথম দেখা গেল পায়ের অবস্থান ম্যাগনেটিক গ্লাস দিয়েও পর্যবেক্ষণ করতে। এমনকি স্ট্যাম্প ক্যামেরা দিয়ে দেখা হলো। সেখানেও দেখা গেল লিটনের পা লাইন স্পর্শ করার পরই স্ট্যাম্প ভাঙা হলো। ধারাভাষ্যকাররা বারবার বলছিলেন, বেনিফিট অব ডাউট ব্যাটসম্যানের পক্ষেই থাকার কথা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টিভি আম্পায়ার রড টাকার টিপে দিলেন লাল বাতি। স্টেডিয়ামে উপস্থিত সব দর্শকরাও বিস্ময়ে হতবাক হয়ে তাকিয়ে থাকল স্কোরবোর্ডের দিকে। এটা কী দেখছেন তারা। এও কি আউট হয়। জোর করে আউট দিতে হবে। সামান্য সম্ভাবনা থাকলেও, সেটা যদি আউট নাও হয়, তবুও দিতে হবে?
টিভি আম্পায়ার আউট দিলেন। ব্যর্থ মনোরথ হয়ে আউট স্বীকার করে নিয়েই মাঠ ছেড়ে আসলেন লিটন কুমার দাস। পরিসমাপ্তি ঘটল ১১৭ বলে খেলা লিটন কুমার দাসের ১২১ রানের লড়াকু ইনিংসটির। ১২টি বাউন্ডারি এবং ২টি ছক্কার মার ছিল তার ব্যাটে।
গত বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালেও আম্পায়ারের একই রকম সিদ্ধান্তের কারনে এর আগে তামিম, সাকিব মাহামুদুল্লাহ ভারতের বিপক্ষে ভুল সিদ্ধান্তের স্বীকার হয়েছেন। এসবের মধ্যে সবচেয়ে দাগ কেটেছে গত বিশ্বকাপের সিদ্ধান্ত দুটি। গত বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পরিস্কার নো বলে মাহামুদুল্লাহ রিয়াদকে আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার। আবার নো বলের অযুহাতে আম্পায়াররা বাচিয়ে দিয়েছিলেন রোহিম শর্মাকে। সুত্র: মানবজমিন