
বাংলাদেশের ইদানিং কালের ঘটনাবলী মনকে প্রচন্ড ভাবে বিষন্ন করে তুলেছে। ছোট ছোট কোমলমতি শিশু কিশোরদের উপর পুলিশের বর্বর আক্রমনের ছবি, রক্তমাখা জুতো আমার রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।
তারা মানুষ খুন করেও হায়েনার মতো হাসে। যেমন মন্ত্রী শাজাহান খান। স্কুলের দুই শিক্ষার্থীকে বাসচাপা দিয়ে মেরে ফেলেও কি অবলীলায় হাসতে পারে এই মন্ত্রী। আর মন্ত্রী এমপিই শুধু নয় কিছু লেখক সাংবাদিক আছে, যারাই অন্যায়ের প্রতিবাদ করছে, সোচ্চার হচ্ছে বিচারের জন্য তাদেরকে তীব্র ভাষায় আক্রমন করছে। একজন সাংবাদিক মন্ত্রীর পক্ষ হয়ে লিখেছে, ‘মন্ত্রী যদি কাঁদত তাহলেই তার সব দোষ মাফ হয়ে যেতো। রাস্তার মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকলে বাস চাপাতো দেবেই..।’ এরা হচ্ছে পেইড তাই তারা এমনই বলবে। অতীতেও এমনটা দেখেছি। কোনো একটা ঘটনা ঘটলেই অন্য দলের উপর দোষ চাপানোটাও দ্বায়িত্ব এড়ানোর সামিল। এভাবে শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না। ঘটনার গভীরে গিয়ে সেটার সমাধানের চেষ্টা না করলে তা জটিলতা বাড়াবে বৈ কমাবে না। যে পুলিশের জনগনের নিরাপত্ত্বা দেওয়ার কথা সেই পুলিশই এখন সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ও আতঙ্কের নাম হয়ে উঠেছে। যে দেশে নিষ্পাপ শিশুরাই নিরাপদ না পুলিশের বর্বরতার হাত থেকে, সে দেশে অন্য কারো নিরাপত্বার কথা ভাবাই হাস্যকর। সরকার আজ পুলিশকে ফ্রাঙ্কেনষ্টাইন বানিয়েছে। কিন্তু তারা জানেনা যে, পুলিশ এখন তাদের হয়ে কাজ করছে, অবস্থা চরমে পৌঁছালে একদিন তাদের দিকেও বন্ধুকের নল ঘুরিয়ে দিতে দ্বিধা করবে না এই পুলিশ।
সৈয়দ আহসান, জার্মান প্রবাসী লেখক।