সব কিছু কি দলীয়ভাবে নিতে হবে? সব কিছুর পিছনে যদি জামাত- বিএনপির হাত থাকে তাহলে সরকার দলের হাত কোথায় থাকে?
সম্প্রতি কিছু বড় ঘটনার অন্ত্যরালে না গিয়ে সরকার আর প্রশাসন বিরোধী দল গুলোকে সরাসরি দোষারোপ করে। এতে করে আমাদের দেশের পরস্পর বিরোধী প্রতিহিংসা পরায়ণতার আরো বেড়ে চলছে। যার ফলশ্রুতিতে দেশের উন্নয়ন কাজ বাঁধা পাচ্ছে তদপোরী গণতন্ত্রের মুক্তি ঘটবেনা।
নারায়ণগঞ্জের হকার সমস্যার মূল কোথা থেকে সেটার পেছনে না গিয়ে সরাসরি বিএনপির দিকে আঙ্গুল তুলে দিয়ে ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টায় সবচেয়ে় বড় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে ক্ষমতাশীল দল আওয়ামী লীগ, এর ফলে দলের ভিতর বিভেদ সৃষ্টি হচ্ছে, যার ফলে সরকার বিরোধী আন্দোলনকারীরা আন্দোলন করতে বা সরকার কে দমন কর্মসূচি ঘোষণা করতে ভয় পাচ্ছে না, কারণ এরা বুঝতে পারছে সরকার দলীয় নেতারা নিজেদের অবস্থান বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে, যেমন টা নারায়ণগঞ্জে হয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত ঘটে, ২০১১ সালের নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে যখন বিএনপির কৌশলগত কারণে আইভী রহমানের জয় শামীম ওসমানের পরাজয়। তারপর থেকে শুরু হয় শামীম ওসমানের নারায়ণগঞ্জে টিকে থাকার লড়াই বা অস্তিত্বের লড়াই। যার পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জে গুম হত্যা সাত খুন জোড়া খুন, তকি হত্যা, সংস্কৃতি কর্মী চঞ্চল হত্যা, আর প্রত্যেকটি হত্যার আসামিদের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন শামীম ওসমান, যার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছেন আইভী। যার ফলশ্রুতিতে ২০১৬ সালে আওয়ামীলীগ থেকে আইভী রহমান কে সিটি কর্পোরেশন এর প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়, যেখানে শামীম ওসমানের আরো একবার রাজনৈতিক পরাজয় হয়। এরপর সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হয়েছে যেখানে দেখা যায় মেয়র আইভী এবং গোলাম দস্তগীর গাজীর অনুসারীরাই যায়গা করে নিয়েছে, যা নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগে শামীম ওসমানের কর্তৃত্বের যে ভাটা পড়ছে তা স্পষ্ট হয়ে পড়ে। এখন প্রশ্ন তবে কি তিনি তার কর্তৃত্বের জানান দেয়ার জন্যই কি হকারদের ব্যবহার করেছেন? যদি তাই হয় তবে কি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে উন্নয়নের স্বপ্ন দেখেন তা ধ্বংস করতে তার দলীয় এমপিরাই মরিয়া হয়ে উঠেছে। তবে কি আমরা কখনোই গণতন্ত্রের মূল স্বাদ পাবোনা?
আমি জানি আমার এই লেখাটি পড়ে অনেকের গায়ে জ্বর এসে যাবে, কিন্তু আপনারা নিজেদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করুন আপনার মনে কি একবারও প্রশ্ন আসে না, যদি সকল কিছুর পিছনে বিরোধী দল গুলোর হাতফ থাকে, সঠিক তদন্তের ভিত্তিতে তাদের আইনের আওতায় কেনো আনা হচ্ছে না।
লেখকঃনজরুল ইসলাম নাজু
জার্মান প্রবাসী যুবলীগ নেতা