পুরো বছরই বি এন পি সংলাপের আকুতি জানিয়েছে কিন্তু সরকারী দলের পক্ষ থেকে বার বার প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে, গতকাল প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে সংলাপ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে, বলা হয়েছে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে । তারপরেও আজ বি এন পি মহাসচিব সাংবাদিক সম্মেলনে নিরবাচনকালীন সরকার সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়ে ফের সংলাপ চেয়েছেন ।২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে বি এন পি যতটুকু কঠোর ছিল আজ তারা ততটুকুই নমনীয় । তাদের কথাবার্তায় মনে হয় তারা সংলাপের মাধ্যমে একটি উইন উইন পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বরফ গলাতে চাইছেন । বিশ্লেষকরা এখনও বুঝতে পারছেন না, সংলাপ না হলে এই সরকারের অধীনেই কি বি এন পি নির্বাচনে আসবে, অনেকেই বলছেন বি এন পি আসবেই না এসে তারা কি করবে, আন্দোলন করে বি এন পি র প্রস্তাবিত সহায়ক সরকারের দাবী আদায় করা সম্ভব নয় । কারন পরিস্থিতি অনেক পাল্টে গেছে গত ৪ বছরে দেশে কোন আন্দোলনের লক্ষন দেখা যায় নি, বি এন পি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এবং নবগঠিত যুক্তফ্রন্ট ছাড়া নিরেপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথা উচ্চকণ্ঠে বলেছেন না, বামপন্থীরা নির্বাচনের দল নয় তাই তারা এটা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না । অন্যদিকে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল গুলোও রহস্যজনক ভাবে নীরব । সরকার চাইছে বাম ডান সবাইকেই খুশী করতে , হেফেজতকে সরকার অনেকটাই হেফাজতে নিয়ে ফেলেছে, তাদের বেশ কিছু দাবীও মেনে নিয়েছে ।এককভাবে আগের মতো ধর্মীয় দল গুলোর ভোট বি এন পি র বাক্সে যাবে তা এবার নিশ্চিত বলা যায় না । জামাতের সাথে বি এন পি র সম্পর্ক নিয়ে অনেক কথাবার্তা শোনা যায় তার থেকে প্রতীয়মান হয় জামাত আগের মতো আর বি এন পি র সাথে নেই । বি এন পি র বড় ব্যর্থতা হচ্ছে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের প্রশ্নে ক্ষমতার বাইরে থাকা দল গুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলনের সূচনা করতে পারেনি । সরকারী দল বি এন পি র এই ব্যর্থতাকে বি এন পি র দুর্বলতা ধরে নিয়ে সংলাপের প্রস্তাব বার বার প্রত্যাখ্যান করছে । এই প্রত্যাখ্যানের শেষ কোথায় বা বি এন পি র সংলাপের আকুতিরও শেষ কোথায় তা খুব শীঘ্রই দৃশ্যমান না হলেও অদূর ভবিষ্যতে দৃশ্যমান হবে তা দেখার জন্য আমাদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে ।
হাবিব বাবুল, সম্পাদক শুদ্ধস্বর ।