আজকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে নতুন কিছু নেই, তিনি যা বলেছেন আজ তা তার দলের নেতারা প্রতিদিনই বলে থাকেন। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে এটা সারা বছর ধরেই আওয়ামীলীগের নেতারা বলে আসছেন, আজ প্রধানমন্ত্রীও তাই বলেছেন। অপর দিকে প্রধান বিরোধী দলও আজকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের কোন শক্ত প্রতিক্রিয়া জানায় নি । দলের মহাসচিব মীর্জা ফকরুল ইসলাম আলমগির তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন যাতি হতাশ হয়েছে, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মীর্জা আব্বাস এবং আমীর খসরু ও হালকা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।
একটি সূত্র থেকে জানা গেছে বি এন পি এখন এমন কোন কর্মসূচি দেবে না যার ফলে নেতাদের আবার জেলে যেতে হয়, তারা এখন নীরব থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ করছে। আন্দোলন বা তাদের চাপের মুখে এই মুহূর্তে সরকার তাদের সহায়ক সরকারের দাবী মেনে নেবে এটা তারা মনেও করছেন না । ২০১৪ সালের নির্বাচন প্রতিরোধ করতে যেয়ে সহিংস আন্দোলনে তাদের যে ক্ষতি হয়েছে তা তাদের উপলদ্ধির মধ্যে আছে।
অন্যদিকে সুশীল সমাজ থেকে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সুজনের বদিউল আলম মজুমদার এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ডক্টর শাহদিন মালিক, এই দুই জনই বলেছেন নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিরোধী দলের সাথে আলোচনা করার জন্য । এই আহব্বান তারা আগেও জানিয়েছেন, কিন্তু তারা কোন সাড়া পাননি । সব মিলিয়ে এখনও স্পষ্ট নয় আগামী নির্বাচন নিয়ে বি এন পি র রাজনৈতিক কৌশল । অন্যদিকে ছোট ছোট বাম দল বা ধর্মীয় দল গুলোও নির্বাচনকালে সরকার পদ্ধতি নিয়ে সরব নয় ।তাদের সাথে প্রধান বিরোধী দল বি এন পি র যোগাযোগও দৃশ্যমান নয় । এইসব বাম দল গুলো ভোটের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ না হলেও আন্দোলনে এদের ভুমিকা থাকে। দেশে এ পর্যন্ত যত বড় বড় আন্দোলন হয়েছে তাদেরকে সামনের সারিতে দেখা গেছে, নির্বাচনের সময়ের সরকার নিয়ে তারাও নীরব ।সব মিলিয়ে রাজনীতিতে এখন চলছে এক স্থবিরতা। এই স্থবিরতা খুব সহজেই কাটবে বলে মনে হচ্ছে না । দেখা যাক কি হয় তার উপর চলছে রাজনীতি ।
হাবিব বাবুল
সম্পাদক শুদ্ধস্বর ।
Related Stories
Saturday June3,2023
Saturday June3,2023