প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভির সাথে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বৈঠক হয়েছে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের। একটি সরকার সমর্থিত অনলাইন খবর দিয়েছে বি এন পি এবং অন্যান্য দল নির্বাচনে অংশ না নিলেও ভারত মেনে নেবে । এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক ভারত তাদের রাষ্ট্রীয় স্বার্থ দেখবে,বর্তমান সরকারের আমলে ভারতের কোন চাওয়াই অপূর্ণ থাকেনি তাই ভারত চাইবে এই সরকারই থাকুক । বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে কি না বা নির্বাচন কিভাবে হোল তা তাদের বিবেচ্চ্য বিষয় নয়, থাকারও কথা না । কিন্তু মাঝখান দিয়ে বাগড়া দিচ্ছে চীন , তাদেরও কিছু চাওয়া পাওয়া আছে,চীনের বিনিয়োগ বাংলাদেশে অনেক বেশী, পদ্মা সেতুর রেল লাইনেও চীনের বিনিয়োগ আছে তারা চায় তাদেরও অনুগত সরকার বাংলাদেশে। আঞ্চলিক রাজনীতিতে চীনের উৎসাহ অনেক কে ভাবিয়ে তুলেছে,নেপালকে ভারতীয় বলয় থেকে বের করে আনতে চীন সক্ষম হয়েছে, পাকিস্তানকে মার্কিন বলয় থেকে বের করার চেষ্টা করছে । বাংলাদেশ চীনের কাছে ভু রাজনৈতিক কারনে গুরুত্বপূর্ণ, রোহিঙ্গা নিধনের পর বার্মাও এখন চীনের পকেটে, শ্রীলঙ্কাতেও চীনা প্রভাব প্রকট । এই অবস্থায় বাংলাদেশ এতদিন ভারত ও চীনের সাথে সমান সম্পর্ক রেখে অগ্রসর হচ্ছিল, আজ ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ভারত এবং চীনকে ইঙ্গিত করে বলেছেন এই দুই প্রতিবেশীর সাথে সম্পর্কের ভারসম্য বজায় রাখা অনেক কঠিন । তার এই কথায় বোঝা যায় চীন বা ভারত বাংলাদেশকে কোন একটির সাথে থাকতে হবে, সরকার যদি বেশী মাত্রায় ভারতের দিকে ঝুকে পরে তা হলে চীন বাংলাদেশে নতুন মিত্র খুঁজবে, আবার সরকার যদি বেশী মাত্রায় চীনের দিকে ঝুকে তা হলে ভারতও বাংলাদেশে নতুন মিত্রের সন্ধান করবে । বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ রাজনীতিও তখন এই দুটি দেশের দৃষ্টিভঙ্গীকে ঘিরেই আবর্তিত হবে । বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে চীন ভারতের প্রভাব কে রাজনৈতিক মহল হিসেবের মধ্যে রেখেই নির্বাচনী ছক তৈরি করছেন । নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসবে ততোই নির্বাচন নিয়ে দুই দেশের অবস্থান স্পষ্ট হবে ।
হাবিব বাবুল
সম্পাদক শুদ্ধস্বর ডট কম /
Related Stories
Monday June5,2023