বাংলাদেশের নির্বাচনের মাত্র আর এক বছর বাকী, কিন্তু এখনও ঠিক হয়নি নির্বাচন কিভাবে হবে, ক্ষমতার বাইরে থাকা দল গুলো ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন হলে অংশ নেবে কি না তা এখনও তারা ঠিক করতে পারেনি,তবে তারা চাচ্ছে একটি নিরেপেক্ষ নির্বাচন,নিরেপেক্ষ নির্বাচন কিভাবে হবে তার কোন রোডম্যাপ এখনও রাজনৈতিক অঙ্গনে আসেনি, বিষয়টি রাজনৈতিক ব্যাপার। নির্বাচন কমিশনের কি করার আছে তা বিশ্লেষণ করে দেখার আছে । নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে একটি অবাধ নিরেপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা । এ বিষয়ে সংবিধান যে দায়িত্ব দিয়েছে তার বাইরে তারা যেয়ে তাদের কিছু করার আছে কি না তা আইন বিশেষজ্ঞরা বলতে পারবেন । কিন্তু রাজনীতিবিদদের অনেক কিছু করার আছে তা সবাই স্বীকার করবেন। সংবিধান এ সংশোধনী এনে একটি গ্রহণযোগ্য নিরেপেক্ষ অনুষ্ঠানে ক্ষমতাসীন দলের অনেক কিছু করার আছে, একটি স্বাধীন দেশে ক্ষমতাসীন দল কারও সাথে কোন রাজনৈতিক সংলাপ করতে আগ্রহী নয় এটা একধরণের অহমিকা বা অহংকার । রাজনীতিতে এই উপসর্গ কোনভাবেই ভালো নয় । সব সময়ে ক্ষমতাসীন দলের সব বিষয়ে দায়িত্ব একটু বেশী থাকে তাই ক্ষমতার বাইরে থাকা দল গুলোকে নির্বাচনে নিয়ে আসার জন্য যা যা করার দরকার ক্ষমতায় থাকা দলকে তাই করতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশে এর কোন লক্ষন দেখছি না । আবার ১৪ সালের মতো একটি নির্বাচন আসলেই কোন দরকার আছে বলে মনে হচ্ছে না ,সেই রকম নির্বাচন হলে হয়েও যেতে পারে, ক্ষমতায় থাকা যাবে অনেকদিন, কিন্তু মানুষের মন জয় করা যাবে না । আবার বি না ভোটে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সবার মধ্যে এম পি হওয়ার বাসনা জাগবে, এতে করে নিজেরাই নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠবে, ফলে আভ্যন্তরীণ কোন্দল মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে , এমনিতেই আমরা প্রতিদিন পত্রিকায় দেখছি নিজেদের কোন্দলে দেশের বিভিন্ন স্থানে আহত নিহত হওয়ার সংবাদ । আমরা আশা করবো দেশের জনগণের স্বার্থে একটি সর্বদলীয় সমঝোতা তৈরি করতে ক্ষমতাসীনরা তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হবেন না । আশা করছি আগামীকাল শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে একটি আলোচনার প্রস্তাব দিবেন এবং সেই আলোচনার মাধ্যমেই দেশের বিরাজমান রাজনৈতিক সংকটের সমাধান হবে ।
হাবিব বাবুল
সম্পাদক শুদ্ধস্বর ।
Related Stories
Monday June5,2023