আজ ৫ই জানুয়ারি অতিক্রম হোল, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশে একদলীয় নির্বাচন হয়েছিলো সেই নির্বাচনে আওয়ামীলীগ এবং তাদের অনুগত দল ছাড়া কোন বিরোধী দল অংশ নেয়নি, বি এন পি প্রতিরোধের ডাক দিয়েছিলো প্রতিরোধ না করতে পারলেও সাধারন জনগণ সে নির্বাচনে অংশ নেয়নি, ১৫৩ টি আসনে কোন প্রার্থী পাওয়া যায়নি ,১৫৩ জনকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছিলো কোনরকম নির্বাচন ছাড়াই । ৪ বছর পার হয়েছে , প্রধান বিরোধী দল আগামী নির্বাচন কিভাবে এটা নিয়ে সরকারের সাথে আলোচনা করতে চেয়েছে সারা বছর ধরেই, কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে বার বার এই প্রস্তাব নাকচ করা হয়েছে, তারা বলেছে আলোচনার দরকার নেই ।সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে, সরকার তার অবস্থানে অটল । দেশে কোন কার্যকর সরকার বিরোধী আন্দোলন না থাকলে কোন চাপ থাকে না, তাই সরকার আলোচনার কোন প্রয়োজন অনুভব করছে না, বাস্তব পরিস্থিতিও এরকম । বি এন পি তার রাজনৈতিক কার্যক্রম সীমাবদ্ধ করে ফেলেছে সরকার বিরোধী আন্দোলনে বি এন পি এখনও রাজপথে নামেনি, একটি সর্বাত্মক আন্দোলন ছাড়া বি এন পি র নির্বাচন কালীন সহায়ক সরকারের দাবী বাস্তবায়ন হবে না, এটা বি এন পি র নীতি নির্ধারকরা বোঝেন না তা নয় । কিন্তু তারা বলে বেড়াচ্ছেন আগামী নির্বাচন হবে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের অধীনে এবং সেই নির্বাচনে বি এন পি অংশ নেবে । বি এন পি র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগ অংশ গ্রহন নাও নিতে পারে কারন আগামী নির্বাচন হবে নিরেপেক্ষ সরকারের অধীনে । চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বলেছেন আগামী নির্বাচনে বি এন পি কে নির্বাচনের বাইরে রাখা যাবে না । আজ মহাসচিব ফকরুল ইসলাম আলমগীর বলেন ২০১৮ সাল হবে খালেদা জিয়ার বছর । বি এন পি নেতারা কিসের ভিত্তিতে এসব কথা বলছেন তা এখন দৃশ্যমান নয় । দেশে কোন আন্দোলন সংগ্রামের পূর্বলক্ষণ দেখা যাচ্ছে না ।
হাবিব বাবুল, সম্পাদক শুদ্ধস্বর ।

By

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading