বাংলাদেশের রাজনীতি একটি পর্যায়ে এসে থেমে গেছে, বাংলাদেশের মানুষ রাজনীতি নিয়ে ভাবে একথা অস্বীকার করার উপায় নেই । গত পাঁচ বছরই রাজনীতিতে একধরনের স্থবিরতা দেখেছি । সেরকম মিটিং মিছিল নেই, কোন ইস্যু নিয়েও সেরকম কোন জোরালো আন্দোলন আমরা দেখিনি, প্রধান বিরোধী দল বি এন পি ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর আন্দোলনে ব্যর্থ হবার পর অনেকটা আত্নরক্ষামুলক অবস্থান নিয়েছে । ২০১৭ সাল পার হয়ে গেল ২০১৮ সাল নির্বাচনী বছর বি এন পি র সহায়ক সরকারের ফর্মুলা এখনও মাঠে আসেনি , তাদের নেতারা বলছেন নিরেপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া তারা নির্বাচনে অংশ নেবেন না এবং তাদের ছাড়া নির্বাচন হতেও দেবেন না । এই কথা তারা কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পারবেন তা নিয়ে জনগনের মধ্যে সংশয় আছে, দেশে কোন আন্দোলন নেই এবং আন্দোলনের লক্ষণও নেই তা হলে তারা কিভাবে সয়হায়ক সরকারের দাবী বাস্তবায়ন করবেন এটা নিয়ে সংশয় অমুলক নয় । বি এন পি ছাড়া বিরোধী অবস্থানে আছে বামপন্থী জোট এবং নব গঠিত যুক্ত ফ্রন্ট । যুক্ত ফ্রন্টের সাংগঠনিক অবস্থা সেরকম দৃশ্যমান না থাকলেও কেন্দ্রীয় নেতাদের ফেস ভ্যলু আছে , সাবেক রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে এই জোটে নেতৃত্ব দিচ্ছেন একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং দুইজন ডাকসুর ভিপি ও একজন প্রখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা ।অর্থাৎ বি চৌধুরী , আসম আব্দুর রব, মাহামুদুর রহমান মান্না, এবং কাদের সিদ্দিকি, তারা সারা দেশে পরিচিত মুখ কিন্তু তাদের সাংগঠনিক অবস্থা বলার অপেক্ষা রাখে না । আগামীতে তারা কি বক্তব্য রাখেন বা কি কর্মসূচী ঘোষণা করেন এবং সেই কর্মসূচী দিয়ে তারা জনগণকে কতটুকু আলোড়িত করতে পারেন তার উপর নির্ভর করছে তাদের সফলতা । বাংলাদেশে কিছু ধর্মভিত্তিক দলও আছে তারা ভোটের সময় কার পক্ষে থাকেন তাও বিবেচ্চ্য বিষয়, দুই বৃহৎ দলই তাদের সমর্থন পেতে ব্যাকুল থাকবে , তারা নির্বাচনের সময় কার পক্ষ নেনে তাও এখন পর্যন্ত অনিশ্চিত । সব মিলিয়ে রাজনীতি এখন সাঁকোর মাঝখানে দাড়িয়ে ।
Related Stories
Monday June5,2023