রংপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের বিজয়ের পর আজ ঢাকায় হোটেল রেডিসনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে জাতীয় পার্টির নেতা হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ রংপুরের নির্বাচন উল্লেখ করে বলেছেন আমার মনে হয় বাংলাদেশে এই প্রথম সুষ্ঠু নির্বাচন হোল । তিনি বলেন আগামী নির্বাচন নিয়ে তিনি কোন ভবিষ্যৎবানী করতে পারবেন না । তিনি আশা প্রকাশ করেন আগামী নির্বাচনে তার দল ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে । রাজনীতির পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন রংপুরে বিজয়ের পর রাজনীতিতে এরশাদ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন দুই দলের কাছে । যদিও আওয়ামীলীগ নেতারা বলেছেন এই নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনে কোন প্রভাব ফেলবে না । জাতীয় নির্বাচনে বি এন পি না এলে বিরোধী দলের ভূমিকায় বা নির্বাচনে এলে সরকারী মহাজোটে তার গুরুত্ব অস্বীকার করা যায় না । মহাজোটে যে কয়টি দল আছে তার মধ্যে একমাত্র জাতীয় পার্টির এলাকা ভিত্তিক ভোট আছে । সেই ভোটের দিকে বড় দুই দলেরই নজর রয়েছে । আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন হলে এবং সেই নির্বাচনে বি এন পি অংশ নিলে এরশাদের মহাজোটের বাইরে যাওয়ার সুযোগ থাকবে না , বাইরে যেতে চাইলে তার বিরুদ্ধে মামলা গুলো আবার সক্রিয় করা হতে পারে, আবার কোন নিরেপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে এরশাদ কোন দিকে যান তা কেউ বলতে পারে না , তাই আজ এরশাদ ইঙ্গিত দিয়েছেন আগামী নির্বাচন নিয়ে তিনি কোন ভবিষ্যৎবানী করতে পারবেন না । তিনি মহাজোটে থাকলেও বি এন পি কে পরোক্ষভাবে আশস্ত করেছেন এই কথার মধ্য দিয়ে । ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচন এই নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশে রাজনীতির আবহাওয়া উষ্ণ হতে চলেছে , ছোট বড় সব দলই নির্বাচনে আগ্রহী হয়ে উঠেছে , আগামী নির্বাচন কার অধীনে কিভাবে তা মীমাংসা না হলেও কে কোথায় নির্বাচনে দাঁড়াবে তার চুলচেরা বিশ্লেষণ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে ।