নির্বাচনকে ঘিরে এখন বাংলাদেশের রাজনীতি আবর্তিত হচ্ছে ,মেরুকরন অনেকটা স্পষ্ট, সরকারের পক্ষে ২০১৪ সালে যারা ছিল তারাই আছে ,আর বিএনপির দাবির সাথে যুক্ত হয়েছে আরও কিছু দল বা জোট।একটি নিরেপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য বিএনপি এত দিন যে আন্দোলন করছিলো তাদের এই দাবীর সাথে নব গঠিত যুক্তফ্রন্ট এবং বাম ঐক্যজোট একাত্ম হয়েছে ,সীমিত শক্তি নিয়েই বাম জোট ইতি মধ্যেই কর্মসূচি দিয়েছে,বিএনপি এবং যুক্তফ্রন্ট কর্মসূচী দেয়ার পরিকল্পনা করছে ,২২ জানুয়ারি ডক্টর কামাল হোসেনের ঐক্য প্রক্রিয়ার জনসভা থেকে আন্দোলনের ওয়ার্মআপ কর্মসূচীর ঘোষণার কথা শোনা যাচ্ছে,বিএনপি যদি ঐক্য প্রক্রিয়ার জনসভায় যোগ দেয়,তা হলে বলা যায় আন অফিসিয়াল হলেও বৃহত্তর ঐক্য সুনিশ্চিত এবং আন্দোলনের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া।অন্যদিকে সরকার এখন তাদের অবস্থান থেকে সরে আসেনি,তারা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন সিধান্তে এখনও অটল।সরকারি দলের নেতারা এবং তাদের মিত্র জাতীয় পার্টির নেতারা নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন তারা চাচ্ছেন দেশে একটি নির্বাচনী আবহ সৃষ্টি করতে যাতে বিরোধীরা আন্দোলনের সুযোগ না পায় । তারা হিসাবে রেখেছেন ২০১৪ সালের মতো একটি নির্বাচনও তাদের করতে হতে পারে,তারই প্রস্তুতি হিসেবে সারা দেশে বিএনপির নেতা কর্মীদের ব্যাপক ধরপাকড় এবং মামলা দেয়া হচ্ছে যাতে করে একতরফা নির্বাচন হলে বিএনপির নেতা কর্মীরা মাঠে না থাকতে পারে।অন্যদিকে প্রধান রাজপথের বিরোধী দল তাদের নেত্রীকে জেলে রেখে নির্বাচনে যাবে কি না তা নিয়ে সংশয় এখনও কাটেনি।বিএনপিতেও এনিয়ে দুই ধরনের মতামত রয়েছে ,শেষ পর্যন্ত আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে হেরে গেলে নির্বাচন পরবর্তী আন্দোলনের কথাও চিন্তা করছে বিএনপি।সেটা করলে তাদের আন্দোলনের গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন কয়েকজন নীতি নির্ধারক।সব মিলিয়ে রাজনীতি ঠিক কোন পথে তা কেউ বলতে পারছেন না,সর্বত্রই একটি অনিশ্চয়তা বিরাজমান,নির্বাচনের প্রক্কালে এরকম পরিস্থিতি বাংলাদেশে নতুন নয়,আগেও এরকম পরিস্থিতি আমরা দেখেছি ,তার পরিনতিও আমরা দেখেছি যা জনগন প্রত্যাশা করেনি ,আমরা আশা করছি আর সময় নষ্ট না করে সরকার আসন্ন নির্বাচন নিয়ে একটি সর্বদলীয় বৈঠক আহব্বান করবেন ,এটা করলে প্রধানমন্ত্রী এবং সরকারী দলেরই লাভ হবে,জনগন এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাবে এবং আমাদের গনতন্ত্রের বিজয় হবে ।
হাবিব বাবুল
প্রধান সম্পাদক,শুদ্ধস্বর ডটকম ।