পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে পরমাণু যুদ্ধ হলে তা দ্রুত পরমাণু মহাপ্রলয়ে রূপ নেবে এবং এতে তাৎক্ষণিকভাবে অন্তত দুই কোটি মানুষ নিহত হবে। এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরের প্রেসিডেন্ট সর্দার মাসুদ খান।

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সেন্টার ফর ইসলাম অ্যান্ড গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স আয়োজিত এক সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে কাশ্মীর সংঘাত সমাধান এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, এছাড়া আর কোনও উপায়ই নেই।
কাশ্মীর সংঘাত কেবল রাজনীতি, অর্থনীতি এবং ভূ-রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয় বরং এটি একটি মানবিক বেদনাদায়ক ঘটনা বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, কাশ্মীর সংকট নিরসনে পাকিস্তান ও ভারতকে জাতিসংঘ এবং আঞ্চলিক শক্তিগুলোর দ্বারস্থ হওয়া উচিত।
এদিকে চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র দিল্লিকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, পরমাণু অস্ত্র হলো প্রতিরক্ষা অস্ত্র এবং এ নিয়ে হালকা চালে কথাবার্তা বলা মোটেও উচিত হবে না। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন তিনি।
নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানকে হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, দিওয়ালি উৎসবের জন্য তার দেশ পরমাণু বোমা বানায়নি। ইসলামাবাদের হুমকিতে দিল্লি ভয় পাওয়ার নীতিও বাদ দিয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। গত মাসে রাজস্থানে এক নির্বাচনী সমাবেশে নরেন্দ্র মোদি এসব কথা বলেন।
মোদি বলেন, প্রতিদিন পাকিস্তান বলে আমাদের হাতে পরমাণু বোমা ছোঁড়ার বোতাম রয়েছে। মোদি পাল্টা প্রশ্ন করেন, ভারতের হাতে তাহলে কী আছে? ভারত কী পরমাণু বোমা দিওয়ালি উৎসবের জন্য তৈরি করেছে?

শুদ্ধস্বর/এন.হাসান

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading