দেড় মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর চালু হলো দূরপাল্লার বাস। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী বহন করছে এসব পরিবহন। তবে বাসযাত্রীদের গুনতে হচ্ছে ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়া। সোমবার সকাল থেকে রাজধানীর বাস টার্মিনালে আগের মতোই ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য। এক আসন ফাঁকা রেখে বিক্রি হচ্ছে বাসের টিকিট।
গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকেই যাত্রীরা টার্মিনালে আসছেন৷ বাসশ্রমিকরা বিভিন্ন এলাকার পরিবহনে যাত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষনে তৎপর। বাস চলাচল শুরু হওয়ায় যাত্রী ও শ্রমিক সবাই স্বস্তিতে।
কথা হয় রাজধানী থেকে গোপালগঞ্জ-বরিশাল-রাজবাড়ী রুটে চলাচল করা সুবর্ণ পরিবহনের কাউন্টারের স্টাফ মোহাম্মদ আলমগীরের সঙ্গে। তিনি বলেন, দেড় মাস পরে বাস চলাচল শুরু হওয়ায় আমরা খুব খুশি। কাল (রোববার) রাত থেকেই আমরা কাউন্টারে এসে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে রেখেছি আজ বাস ছাড়বে বলে। সকাল থেকেই যাত্রীরা আসছেন। তবে তুলনামূলক যাত্রীর সংখ্যা অনেক কম। তবুও আমরা খুশী।
তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা বাসে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করছি। পাশাপাশি ৬০ শতাংশ ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া কমও নেওয়া হচ্ছে৷
তিনি বলেন, আজ থেকে বাস চলাচল শুরু করেছে তাই যাত্রী একটু কম। আশা করি কয়েকদিনের মধ্যে যাত্রীর সংখ্যা বেড়ে যাবে। কারণ এখনো অনেকেই বাস চালু হওয়ার কথা জানেন না।
কথা হয় খুলনা যাওয়ার যাত্রী আকাশ হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, গতকাল যখন শুনেছি বাস ছাড়বে তখনি মনে মনে ভেবেছি বাড়ি যাবো৷ ঈদের সময় বাড়ি যাইনি তাই আজ যাচ্ছি। বাস চালু হওয়ায় খুব সুবিধা হয়েছে। বাস টার্মিনাল এসেই টিকিট পেয়ে গেলাম কোন ভোগান্তি ছাড়াই। আবার ভাড়া ৬০ শতাংশ বেশি দিলেও আমার পাশের ছিটটি খালি যাচ্ছে, তাই একটু আরাম করেই যেতে পারবো।
গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকা ঘুরে আরো দেখা গেছে, স্বাভাবিক সময়ের মতো কাউন্টার স্টাফদের সেই চিরচেনা যাত্রী ডাকার হাঁক ডাক। কাউন্টার স্টাফরা যাত্রী দেখলেই কোথায় যাবেন বলে চেচাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ যাত্রী ধরে টানাটানিও করছেন।