ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) ওল্ড ডিওএইচএসের বিপক্ষে মুখোমুখি হয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবারের ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাট করেছেন মাহমুদুল হাসান জয়। একাই হাঁকালেন ৭ ছক্কা।
৩ চার ও ৭ ছক্কায় ৫৫ বলে করলেন ৭৮ রান। যা এবারের লিগে এখন পর্যন্ত ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস।
এ টপ অর্ডারের এমন অপাজিত ইনিংসের পরও গাজী গ্রুপকে বড় লক্ষ্য ছুড়ে দিতে পারেনি ওল্ড ডিওএইচএস।
কারণ গাজীর বোলারদের সামনে মাহমুদুল ছাড়া আর কেউ দাঁড়াতেই পারেননি। মাহমুদুল ছাড়া দুই অংকের ঘরে পৌঁছুতে পেরেছেন মাত্র ২ জন।
মাহমুদুলের ৭৮ রানের পর ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানসংখ্যা মাত্র ১৫। তাও এসেছে টেলএন্ডার আল ইসলামের ব্যাট থেকে।
যে কারণে এমন অনবদ্য টর্নেডো ইনিংস উপহার দিয়েও দলীয় সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৩৬ এ থেমে গেছে ওল্ড ডিওএইচএসের।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেই দুই ওপেনারকে হারায় ওল্ড ডিওএইচএস।
ডানহাতি পেসার মহিউদ্দিন তারেক উইকেটের দেখা পান প্রথম বলেই। তার ফুল টসে কাভারে ক্যাচ দেন আনিসুল ইসলাম ইমন। আরেক ওপেনার রাকিন আহমেদ এলবিডব্লিউ হন নাসুম আহমেদকে স্লগ সুইপের চেষ্টায়।
৭ ওভার শেষে ওল্ড ডিওএইচএসের রান ছিল ২ উইকেটে মাত্র ২০। মাহমুদুলের রান তখন ১৫ বলে ৪।
পরের ওভারে মেহেদি হাসানকে মাথার ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে ঝড়ো ইনিংসের শুরু করেন মাহমুদুল।
এরপর মুকিদুল হাসানের বলে পুল শটে উড়িয়ে সীমানার বাইরে পাঠান। পরের ওভারে টানা দুই বলে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে ৪০ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন মাহমুদুল।
মাহমুদুল যখন গাজীর বোলাদের তুলোধোনা করছিলেন তখন অপরপ্রান্তের ব্যাটসম্যানরা আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন।
যে কারণে ১৮ ওভার শেষেও একশতে পৌঁছুতে পারেনি ওল্ড ডিওএইচএসের স্কোর। শেষ দুই ওভারে আলিস আল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে তাণ্ডব চালান মাহমুদুল।
তারেকের এক ওভারে ২১ রান নেন এ জুটি। মাহমুদুল মারেন এক ছক্কা এক চার, আলিসও এক ছক্কা এক চার।
শেষ ওভারে অফ স্পিনার মেহেদির প্রথম তিন বলে দুই ছক্কা ও এক চার মেরে ১৯ রান যোগ করেন স্কোরবোর্ডে।
ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসের পাশাপাশি এবারের লিগের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ইনিংসে ৫টির বেশি ছক্কা মারেন মাহমুদুল।