জলোচ্ছ্বাস থেকে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান কলকাতা টিভির সাংবাদিক সূচন্দ্রিমা ও তার গাড়িচালক। তবে ভেসে যায় তাদের গাড়িটি। পশ্চিবঙ্গের দিঘায় এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে ওডিশার বালাশোরের দক্ষিণে আছড়ে পড়ে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’।
আনন্দবাজার জানায়, এর আগে থেকেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব শুরু হয় পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকায়।
বিশেষ করে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রবল জলোচ্ছ্বাস শুরু হয়েছে। পানি ঢুকতে শুরু করে উপকূলবর্তী এলাকায়।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাচ্ছে, এভাবে জলোচ্ছ্বাসের একটা বড় কারণ ভরা কটালের সময় ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত।
বুধবার পূর্ণিমা। সেই সঙ্গে রয়েছে চন্দ্রগ্রহণ। পূর্ণিমার প্রভাবে বুধবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে শুরু হয় জোয়ার। সকাল ১১টা ৩৭ মিনিটে সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছায় জোয়ার। জোয়ার চলাকালীন পানির উচ্চতা সর্বাধিক সাড়ে ৫ মিটার উঠতে পারে।
অন্য দিকে বুধবার দুপুর ৩টা ১৫ মিনিটে শুরু হওয়ার কথা পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। চলবে সন্ধ্যা ৬টা ২৩ মিনিট পর্যন্ত। ২০২১ সালে এটিই প্রথম ও শেষ ‘ব্লাড মুন’ হতে চলেছে।