অক্সিজেন সঙ্কটে ভয়াবহভাবে ভুগছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির বিভিন্ন বড়-ছোট হাসপাতাল। এক্ষেত্রে অক্সিজেন সরবরাহে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর জবাবে দিল্লি হাইকোর্ট বলেছেন, যদি কেউ অক্সিজেন সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করে তাহলে ‘আমরা তাকে ফাঁসি দেবো’।

এনডিটিভি জানিয়েছে, আদালতে দিল্লি সরকার বলেছে- যদি রাজধানী দিল্লি ৪৮০ টন অক্সিজেন সরবরাহ না পায়, তাহলে পুরো সিস্টেম ধসে যাবে। বেশ কিছু হাসপাতাল এরই মধ্যে তাদের অক্সিজেন সঙ্কটের ভয়াবহতার কথা জানান দিয়েছে। পাঠিয়েছে এসওএস বার্তা। অক্সিজেন সঙ্কটের কারণে শুক্রবার দিবাগত রাতে দিল্লির জয়পুর গোল্ডেন হাসপাতালে কমপক্ষে ২৫ জন মানুষ মারা গেছেন। অন্যদিকে হাজার হাজার রোগী প্রতিদিন হাসপাতালে ছুটে যাচ্ছেন।

অক্সিজেনের সরবরাহ কয়েক দিন ধরেই এক বড় ভয়ের কারণ হয়ে উঠেছে। ফলে কয়েকটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি হাইকোর্টে তুলে ধরেছে।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার আদালতে বলেছে, আমরা যদি ৪৮০ টন অক্সিজেন সরবরাহ না পাই তাহলে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। এ অবস্থা আমরা ২৪ ঘন্টায় প্রত্যক্ষ করেছি। এমন হলে এক বিপর্যয় নেমে আসবে। এর সঙ্গে উল্লেখ করা হয়, সরকার শুক্রবার মাত্র ২৯৭ টন অক্সিজেন সরবরাহ পেয়েছে। অক্সিজেন সরবরাহ ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য জানতে চায় রাজ্য সরকার।

হাইকোর্টের বিচারক জানান, আপনারা অক্সিজেন সরবরাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে এমন একজনের নাম বলুন। তাহলে আমরা ওই ব্যক্তিকে ফাঁসি দেবো। কাউকে ছাড় দেবো না আমরা। একই সঙ্গে আদালত রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের কে এমন বাধা সৃষ্টি করেছে, তার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে জানাতে, যাতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায়। ওদিকে মহারাজা আগ্রা সেন হাসপাতালের পিটিশনের ওপর শুনানিতে আদালত কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জানতে চান- ‘কখন ৪৮০ টন অক্সিজেন দেয়া হবে দিল্লিকে? তা আমাদেরকে জানান।

শনিবারের এ শুনানিতে প্রথমদিকে দিল্লিতে ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টির (এএপি) সরকারকে দায়ী করার চেষ্টা করে কেন্দ্রীয় সরকার।

কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাজ্যগুলো ট্যাংকার থেকে সবকিছু ব্যবস্থাপনা করছে। আমরা শুধু তাদের সহায়তা করছি। কিন্তু দিল্লিতে, সব কিছু আমাদের ওপর চাপানো হয়েছে। দিল্লির কর্মকর্তাদের তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।

দিল্লি সরকারের আইনজীবী রাহুল মেহরা অভিযোগ করেন, অক্সিজেন বরাদ্দের নির্দেশনা অনুসরণ করছে না কেন্দ্রীয় সরকার। তার এ বক্তব্যের জবাবে সোলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, আমার দায়িত্ব সম্পর্কে আমি জানি। অনেক কিছু জানি। কিন্তু কিছুই বলবো না। শুধু শুধু কাঁদার চেষ্টা করবেন না। এখানে আমরা নির্বাচনের লড়াই করছি না।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading